এ.এস.আই শিরিন আক্তারের নানা অনিয়ম, দূর্নীতির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

মিডিয়ায় কর্মরত জাতির বিবেক প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ
আসসালামু আলাইকুম,

আমাদের পরিবারের সদস্য, আমাদের এক সময়ের প্রিয় বড় বোন ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রূপনগর থানার এ.এস.আই শিরিন অক্তারের নানা অনিয়মন, দূর্নীতি, মিথ্যা তথ্য দিয়ে পুলিশে চাকুরী গ্রহণ, শহীদ পরিবারের নামে বরাদ্দ দেওয়া বাড়ি প্রতরণা করে নিজের নামে নেওয়া এবং আমাদের ভাই- বোনদের মাথা গোজার শেষ ঠাইকুটু প্রভাব খাটিয়ে দখল ও মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানির প্রতিবাদ করতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আজ আমরা আপনাদের সামনে হাজির হয়েছে। আপনাদের মাধ্যমে দেশের সরকার তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত এমন একজন দুর্নীতিবাজের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানাচ্ছি।

দেশের কলম সৈনিক প্রিয় সাংবাদিক বৃন্দ,

আপনাদের সদয় বিবেচনার জন্য বিনীতভাবে জানাচ্ছি যে, আমাদের বোন শিরিন আক্তার মিথ্যা তথ্য দিয়ে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দিয়ে ক্ষমতার প্রভার খাটিয়ে আমাদের ভাই- বোনদের মাথা গোজার শেষ ঠাইটুকু দখল করতে মা সহ পরিবারের সদস্যদের মিথ্যা মামলা দিয়ে নানা রকম হয়রানী করছে। মার ইচ্ছার বিরুদ্ধে মাকে আটকিয়ে রেখে মার স্বাক্ষর জাল করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপারের কাছে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। মা বিষয়টি জানতে পেরে শিরিন আক্তারের এই মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহার করেন। শিরিন আক্তারের জন্ম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানা সাং- বাউচাইল, ডাকঘর- সাতমোড়া, ইউনিয়ন- ২১নং রতনপুর, সে বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগে যোগদান করেন ১৯৮৬ সনে। ল্লেখ্য যে, সে বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগে চাকুরীর সর্বপ্রথম যে শর্ত সেটি ভঙ্গ করেছে। ওনার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রমাণিত হয়েছে যে, মোছাঃ শিরিন আক্তার ১৯৮৪ সনের জানুয়ারি মাসে বিয়ে হয় পাশের গ্রামের মোঃ গোলাম মোস্তফা, পিতা মৃত জব্বার মোল্লা, সাং- মাধবপুর, ডাকঘর- সাতমোড়া, থানা- নবীনগর, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, পক্ষান্তরে শিরিন আক্তার এর পিত্রালয়ে বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিয়ের সময় শিরিন আক্তার কুমিল্লা শ্রীকাইল ডিগ্রি কলেজে দ্বাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছিলেন। ১৯৮৪ সালের ডিসেম্বর মাসে শিরিন আক্তারের প্রথম পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে।

প্রিয় সাংবাদিক বৃন্দ ,

শিরিন আক্তার চাকুরী নেওয়ার পর থেকে বেপরোয়া চলাফেলা, বেহায়াপানা, বে-পর্দা, অশ্লীল চলাফেলা তাদের পরিবারকে সামাজিকভাবে এবং সকল আত্মীয় স্বজনের নিকট হেয় করে ফেলছে। বর্তমানে সে অবৈধভাবে পরের সম্পদ জবর-দখল করে সে পাহাড় পরিমাণ সম্পদের মালিক বনে গেছেন এবং তাহার বাসায় গচ্ছিত তাহার ব্যবহৃত প্রায় ১০০ ভরি ওজনের স্বর্ণের গহণা এবং ডায়ম-ের গহণার সেট ও রয়েছে।

অনিয়ম ও দুর্নীতির ¯্রােতে গা-ভাসিয়ে দেওয়া শিরিন আক্তার বর্তমানে আমাদের ঢাকাস্থ পৈত্রিক মাথা গোজার শেষ ঠাই সাং-৪৩৯, ব্লক-ধ, সেকশন-১২, থানা- পল্লবী, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ এই বাড়ীটি সে নিজে একা আত্মসাৎ করার জন্য বিভিন্নভাবে পায়তারা করিয়া আসিতেছে। তাহার ছোট ভাই আলম মিয়া, এস.আই, চট্টগ্রামে কর্মরত। আলম মিয়া, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন ১৯৮৪ সনে। ইতিপূর্বেও শিরিন আক্তার তাহার বাবার অর্থায়নে ক্রয়কৃত মায়ের নামে রাখা বাড়ি দুটি বাসা-৩/৪, ব্লক-ই, লাইন নং-১১, বাউনিয়াবাধ, মিরপুর-১১, থানা- পল্লবী, ঢাকা-১২১৬ বাড়ীটি ১৯৯৩ সনে ক্রয় করেন। এই বাড়ীটিও শিরিন আক্তার প্রতারণামূলকভাবে মায়ের নিকট হইতে তাহার নিজ নামে তার মায়ের অন্যান্য সন্তানদেরকে না জানিয়ে মার সহি জাল করে নিজের নামে লিখে নেয়। এ বিষয়ে তাহার সকল ভাই- বোন জানতে পারে তাহার বাবার মৃত্যুরপর বাবা মৃত্যুবরণ ১৯/০৯/২০১৩ইং তারিখে। উক্ত বিষয়ে তাহার ছোট এ.ছালাম সরকার ঘরোয়াভাবে মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। এ বিষয়ে আমাদের উপর শিরিন আক্তার ক্ষীপ্ত হয় এবং আমাদেরকে দেখে নিবে বলে হুমকি দেয়।

পরবর্তীতে বিগত ২৫/০২/২০১৫ইং তারিখ ঘটনার বিষয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে একটি লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করেন যাহা তিনি অবগত আছেন/ প্রাপ্ত হন। অত:পর বাবার নামে বরাদ্দকৃত পল্লবীতে সাং-৪৩৯, ব্লক-ধ, সেকশন-১২ একটি বাড়ী আছে ২য় তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণ করা। বাড়ীর জায়গাটি ক্রয় করেন মৃত জয়নাল আবেদীন সরকার এবং মোঃ কামাল পাশা সরকার এবং এ. ছালাম সরকার এর অর্থায়নে ভবনটি নির্মাণ হয়। প্রকাশ থাকে যে, কামাল পাশা সরকার দীর্ঘদিন যাবৎ প্রবাসে থেকে ফিরে এসে পরিবারের সদস্যদেরকে নিয়ে অন্যত্র ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। এক পর্যায়ে পরিবারের সকল সদস্যদেরকে মৌখিকভাবে জানিয়ে গত ০২/০৩/২০১৪ইং তারিখে বাবার রেখে যাওয়া ৪৩৯নং বাড়ীটিতে বসবাস করার জন্য পরিবার সহ উঠেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় শিরিন আক্তার তা সহজে মেনে নিতে পারেন নাই। মোঃ কামাল পাশা সরকার তাহার স্ত্রীর ২টি সন্তানকে গুম, অপহরণ, এমনকি খুন করার হুমকী প্রতিনিয়ত দিয়া আসিতেছিল এক পর্যায়ে বাড়ীর নীচতলার ভাড়াটিয়াদের বিভিন্ন অত্যাচার, নির্যাতন এবং পুলিশের ভয় দেখিয়ে তাদের নিকট থেকে ৩টি নন-জুডিশিয়াল ষ্টাপ এবং একটি সাদা কাগজে জোরপুর্বক স্বাক্ষর নেয়। এই মর্মে তাহার ছোট ভাই কামাল পাশা সরকার বাদী হইয়া নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা করেন যাহার নং- ২৫/১২ এই মামলাটি শিরিন আক্তারের বাসা-২২৮, রোড নং-১২, ব্লক-বি, সেকশন-১২ এই ঠিকানায় ফৌজদারী কার্যবিধির ৯৮ ধারা, স্মারক নং- মহামান্য আদালত, প্রতি, অফিসার ইনচার্জ, পল্লবী থানা, ঢাকা বরাবর ঝ/ড ইস্যু করেন এবং এক পর্যায়ে সাং-৪৩৯, ব্লক-ধ, সেকশন-১২, থানা- পল্লবী, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ বাড়ীর সকল সংযোগ যেমন-গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় এই মর্মেও মোঃ কামাল পাশা সরকার বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করেন সি.এম.এম আদালতে মামলা নং-সি.আর-২২/২০১৫ (কোর্ট-১৮) এই সব ব্যাপারে বিচার চেয়ে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নিকট অভিযোগ করেন কামাল পাশা সরকার।

প্রিয় সাংবাদিক বৃন্দ

শিরিন আক্তারের নানা অপকর্ম, দুর্নীতির বিচার প্রার্থনা করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বরাবর আমরা ইতিপুর্বে বেশ কয়েকবার আবেদন করেছি। যাহার অনুলিপি মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মহা-পুলিশ পরিদর্শক, এ.আই.জি, ক্রাইম, পুলিশ কমিশনার, ঢাকা, ডিসি উত্তর, মিরপুর জোন, পুলিশ সুপার, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, পল্লবী থানা, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, রূপনগর থানা, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, দারুসসালাম থানায় দেন এবং পরবর্তীতে ১১-০৩-২০১৫ইং তারিখ রোজ বুধবার পরিবারের ছোট বোন মাকসুদা আক্তার (পপি), শিরিন আক্তারের জোর করে আটকিয়ে রাখা মাকে এই ৪৩৯নং বাসায় গোপণে নিয়ে আসে হলফনামা ষ্টাম্পে সহি স্বাক্ষর এবং টিপসহী প্রদান করার জন্য। এই হলফনামার কথা জানতে পেরে শিরিন আক্তার ছোট ভাই সবুজ, শিরিন আক্তারের ছেলে কলেজ পড়–য়া ফাহিম মোল্লা এবং তাহার বন্ধুরা মিলে ৪৩৯নং বাড়ীটিতে আক্রমণ করে বাড়ীর দরজা, জানালা, গ্লাস, রান্না করার পাতিলাসহ, চুলা, ফ্যান ও অন্যান্য আসবাবপত্র ভাংচুর করে তাদের মাকে মাথায় আঘাত করে টানতে টানতে নিয়ে যায়। তখন পরিবারের ভাইদের মধ্যে বড় আলম মিয়া (এস.আই) কে পারভীন আক্তারসহ সকলকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলে শিরিন আক্তার তোদেরকে দেখে নিব। বলে যে, এস.পি, ডি.সি সব আমার পকেটে একথা বলে মাকে জোর করে তাহার ইচ্ছার বিরুদ্ধে নিয়ে যায়।

পরবর্তীতে পারভীন আক্তার ২৬ দিন অবস্থান করে মিমাংসায় ব্যর্থ হয়ে চলে যায় তাহার স্বামীর বাড়ী কুমিল্লায়। বাড়ীর উপরের তলায় সকল রুম এবং মেইন গেটে তালা দিয়ে যায় এবং সবকিছুর আলামত তাহার মোবাইলে ছবি তুলে নিয়ে যায় পরবর্তীতে শিরিন আক্তার, সবুজ, ফাহিম মোল্লা মিলে বাড়ীর সকল তালা এবং তালা লাগানো লকগুলো ভেঙ্গে ফেলে। এই পরিবারের মেঝো ছেলে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ নেতা এ.ছালাম সরকারের মাধ্যমে জানতে পারি। এই সব ঘটনা পল্লবী থানাকে মোবাইল ফোনে জানাইলে কোন প্রকার পুলিশ আসে নাই। পরে গত ১১-০২-২০১৫ইং তারিখের ঘটনা উল্লেখ করে এ.ছালাম সরকার বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন শিরিন আক্তারের বিরুদ্ধে ২৩-০২-২০১৫ইং তারিখের মামলা নং-৭৫/২০১৫। এ. ছালাম সরকার শিরিন আক্তারের এই অপকর্মের বিচার চেয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি আবেদন করেন। যাহার অনুলিপি মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মহা-পুলিশ পরিদর্শক, এ.আই.জি, ক্রাইম, পুলিশ কমিশনার, ঢাকা, ডিসি উত্তর, মিরপুর জোন, পুলিশ সুপার, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, পল্লবী থানা, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, রূপনগর থানা, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, দারুসসালাম থানায় দেন এবং পরবর্তীতে ১১-০৩-২০১৫ইং তারিখে পরিবারের ছোট মাকসুদা আক্তারের মেয়ে ফাহমিদা আক্তারের সঙ্গে গোপণে পরিবারের মেঝো ভাই এ. ছালাম সরকারের পলাশ নগরের বাসায় তাদের আম্মা চলে আসেন।





ঐ দিনই তাদের আম্মা ব্রাহ্মণবাড়ীয়া পুলিশ সুপারের বরাবর শিরিন আক্তারের করা তাহার আম্মার নাম দিয়ে জাল দস্তখত দিয়ে সকল অভিযোগের বিরুদ্ধে প্রত্যাহারের জন্য প্রার্থনা করেন, যাহা অনুলিপি দেওয়া হয়, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, পল্লবী থানা, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, রূপনগর থানা, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, দারুসসালাম থানা, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, নবীনগর থানা, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া বরাবর। ঐ দিন রাত আনুমানিক ১০ ঘটিকায় শিরিন আক্তার তাহার স্বামী গোলাম মোস্তফা ছোট ভাই সবুজ, ভাগিনা ফাহিম অজ্ঞাত আরও লোকজন নিয়ে এ. ছালাম সরকারের বর্তমান পলাশ নগরের বাসায় আতংকিত আক্রমণ করে মাকে নেওয়ার জন্য। পরে মহল্লার স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের হস্তক্ষেপে এরা পিছু হটেন। যাওয়ার সময় বলে যায় যে, আমি শিরিন আক্তার মিরপুর এলাকার ২০ বছর যাবৎ চাকুরী করিতেছি সুতরাং এলাকার সকল সন্ত্রাসী এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য ইলিয়াস মোল্লাকে দিয়ে তোমাদেরকে সাইজ করিব এবং তাহাও বলে যে, ইলিয়াস মোল্লা আমার কাছের লোক। তার পরের দিন ১২-০৩-২০১৫ইং তারিখ রাত্রি পরিবারের ছোট ভাই সবুজকে বাদী করাইয়া শিরিন আক্তার এ. ছালাম সরকার, মোঃ কামাল পাশা সরকার (বর্তমানে তিনি গ্রামের বাড়ীতে থাকেন)। ওনাদের বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় একটি মিথ্যা মামলা করান। পরবর্তীতে পরিবারের মেঝো মেয়ে পারভীন আক্তারের মোবাইল ফোনে ছোট ভাই সবুজ এবং ভাগিনা নুরুল ইসলাম (সজিব) ল-ণ থেকে বলে যে, তারা সন্ত্রাসী ভাড়া করিয়াছেন। এ. ছালাম সরকার এবং কামাল পাশা সরকারকে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য। তারপর শিরিন আক্তার ছোট বোন মাকসুদা আক্তার (পপি) তার স্বামী কাজী ইয়াসিন উল্লাহ, তার মেয়ে ফাহমিদা আক্তারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তাদেরকে মিথ্যা মামলা ও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিতেছে।

আরো উল্লেখ থাকে যে, কামাল পাশা সরকারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জনাব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (ডিএন্ডপিএস) পুলিশ হেড কোয়ার্টার্স এন.সি.সি, ও এম. (নতুন ভবন) ৭ম তলা, ঢাকা উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দেওয়ার জন্য নোটিশ প্রদান করেন। ঐ নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে মোঃ কামাল পাশা সরকার, তার মেঝো ভাই এ. ছালাম সরকার, চাচাতো ভাই ফখরুল ইসলাম (মজনু), জনাব সাকলাইন মাষ্টার, চাচা মোখলেছুর রহমান, ভাতিজা একরাম হোসেন সহ উপস্থিত হয়ে কিছু বক্তব্য দিয়ে আসে এর মধ্যে কামাল পাশা সরকারের নিজ গ্রামে ২১নং রতনপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড মেম্বারের প্যাডে শিরিন আক্তারের বিরুদ্ধে মিটিং এর সিদ্ধান্ত এবং গ্রামবাসীর দস্তখত কপি ও মেম্বর তার নিজ হাতে লেখা একটি বক্তব্য প্রদান করেন এবং বিগত ২৬-০১-২০১৫ইং তারিখ মোছাঃ শিরিন আক্তারের ব্যবহৃত গ্রামীণ কোম্পানীর সিম নং-০১৭৭৭৬৭৭০৬৬ থেকে কামাল পাশা সরকারের টেলিটক কোম্পানীর ব্যবহৃত সিম নং- ০১৫৫৮১৪৮৫৪৮ তে ঠরনবৎ এর মাধ্যমে ১৫০ কপি বিভিন্ন ধরণের অশ্লীল ছবি পাঠানোর কপি ছবি তৈরীকৃত সিডি দিয়া আসেন।

আরো উল্লেখ থাকে যে, শিরিন আক্তারের চাচী আয়েশা খাতুন স্বামী মৃত আক্কেল আলী, ১৭৯২৬ শহীদ সিপাহী মোস্তফা (বাংলাদেশ রাইফেলস্) বীর মুক্তিযোদ্ধা যাহা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, প্রজ্ঞাপন নং- মুবিম/ প্রঃ ৩/ মুক্তিযোদ্ধা/ গেজেট/২০০৩/৪৭৯ তারিখ ৪ই সেপ্টেম্বর ২০০৩ইং মোতাবেক ১৫ জুন ২০০৪ তারিখে প্রকাশিত শহীদ গেজেটের ক্রমিক নং-৬১৪ এর মাতা। মহিলা পুলিশ শিরিন আক্তারের বর্তমান ৪৬১নং ১২/ধ, পল্লবী বাড়ীর বরাদ্দ পত্রের স্মারক নং- ১২০২/৯৫/৬০৮৫ সরকারী টেনসীড বাড়ী আয়শা খাতুনের এটি প্রতারণা করে শিরিন আক্তার নিজের নামে বরাদ্দ করে ফেলে। আয়শা খাতুন এই ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর অভিযোগ করেন-০৮-০৩-২০১৫ইং তারিখে যাহার অনুলিপি দিয়েছেন মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইন ও বিচারমন্ত্রী, হাউজিং সেটেলম্যান কমিশনার, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ রাইফেলস্, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, এ.আই.জি, ক্রাইম (অপরাথ শাখা-৩), ডিসি (পুলিশ) উত্তর, মিরপুর জোন, ডি.এম.পি, ঢাকা, পুলিশ কমিশনার, ঢাকা।

আরও উল্লেখ থাকে যে, মোছাঃ শিরিন আক্তারের মা হাজী ফিরোজা বেগম, স্বামী মৃত হাজী আব্দুল করিম সরকার, ২০০ শত টাকার নন-জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে একটি হলফনামা তৈয়ার করেন আইনজীবীর মাধ্যমে। যাহাতে শিরিন আক্তার, ছোট ভাই সবুজ ছাড়া বাকী পরিবারের ৮ জন দস্তখত করেন যে, সাং-৪৩৯, সেকশন-১২, ব্লক-ধ, থানা-পল্লবী, ঢাকা-১২১৬। যাহাতে লেখা রহিয়াছে বাড়ীর সকল দায়িত্ব এ. ছালাম সরকার পালন করিবেন এবং সম্পূর্ণ ভাড়ার টাকা মার নিকট প্রতি মাসে বুঝাইয়া দিবেন। বাড়ী বিক্রি করার আগ পর্যন্ত। উপরোক্ত বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্মকর্তার সু-দৃষ্টি কামনা করছি এবং এ.এস.আই শিরিন আক্তারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করছি যাহাতে আর কোন নিরহ পরিবার যেন এই ধরণের দুর্নীতিবাজ পুলিশ অফিসারের হাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।

এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরও অভিযোগ করা হয়েছে। উপরোক্ত ব্যক্তিদের স্বাক্ষী হিসেবে নি¤েœ তাদের নাম ও মোবাইল নম্বর দেওয়া হলো: মেঝো বোন- মোছাঃ পারভীন আক্তার, মোবাইল নং-০১৯৫০-৬০৭১০৫/ ০১৫৫৪৩০৯৭২৭, মেঝো বোনের জামাতা- জনাব মোঃ সালাউদ্দিন খাঁন (ইন্সপেক্টর অব পুলিশ) মোবাইল নং- ০১৫৫৩১০৬৬১৮/ ০১৮২০৭০২০০৪, বড় ভাই আলম মিয়া (এস.আই)- ০১৭৭৪৮২৮৫৮৭, মেঝো ভাই- এ. ছালাম সরকার, মোবাইল নং- ০১৯৫৩৫৮৮৪৩১/ ০১৬৭৫৯৫৪৭৩৯, ভাই কামাল পাশা সরকার- মোবাইল নং- ০১৯৮০৪৬৩৩৮৪, বোন- জাকিয়া আক্তার (ডলি) মোবাইল নং- ০১৯৮৫১০০৫৩৪, বোন- মাকসুদা আক্তার (পপি) মেবাইল নং-০১৭৭২৫৫৪৪৫৯, ভাই এমদাদ সরকার-মেবাইল নং-০১৬২০৩০৮৪২৩, চাচাতো ভাই জনাব ফখরুল ইসলাম (মজনু) মেবাইল নং-০১৭১৬-৫৮৫০৮৫, চাচাতো ভাই, শরিফুল ইসলাম (সাকলাইন), প্রধান শিক্ষক, মেবাইল নং-০১৭১১০৪২০৫৯/ ০১৯৪৮০০৭২১৭, চাচাতো ভাই- মোঃ শামছুল আলম-মেবাইল নং-০১৮১২২২৫৫৬৪, চাচা- মোঃ মোখলেছুর রহমান, মেবাইল নং-০১৭১৮৮০৬১৮৯, ভাতিজা মোঃ একরাম হোসেন মেবাইল নং- ০১৭১০০৮৩০৪১। আমার এই বক্তব্যের সত্যতার জন্য পরিবারের ব্যক্তিবর্গসহ উপরোক্ত ব্যক্তিদ্বয়ের সহিত যোগাযোগ রক্ষা করতে পারেন।

প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ, আপনাদের লেখনির মধ্য দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে শিরিন আক্তারের এই অত্যাচারের কাহিনী তুলে ধরলে আমরা উপকৃত হব। আমরা এই দুর্নীতিবাজের বিচারের জোর দাবী জানাচ্ছি।



মন্তব্য চালু নেই