এসএমএস দিয়েছিল খুনিরা?

মাহির স্কুলের ক্লাস প্রতিদিন শুরু হয় সকাল ৮টায়। শনিবার স্কুল কর্তৃপক্ষ এক এসএমএস-এর মাধ্যমে জানিয়েছেন রোববার থেকে স্কুলে অ্যাসেম্বলি হবে। সকাল ৬টা ৫০-এর দিকে জিইসির মেরিডিয়ান রেস্টুরেন্টের সামনে স্কুলের বাস আসবে। ছেলেকে গাড়ি তুলে দিয়ে আসতে ৬টা ৪০-এর দিকে বাসা থেকে বের হন মাহমুদা খাতুন ওরফে মিতু (৩২)। রোববার নির্দিষ্ট সময়ের প্রায় এক ঘণ্টা আগে ছেলেকে নিয়ে জিইসি এলাকার ফ্ল্যাট থেকে বের হন।

এরপরেই সকাল ৭টা ৪৩ মিনিটের দিকে জিইসি মোড়ে মোটরসাইকেলে আসা তিন দুর্বৃত্ত প্রথমে তাকে দিয়ে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। সঙ্গে সঙ্গে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত। সব শেষে গুলি করে হত্যা করা হয় পুলিশ অফিসার, সদ্য পুলিশ সুপার পদে প্রমোশন পাওয়া ঢাকা হেড কোয়ার্টারে কর্মরত (চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এডিসি) বাবুল আক্তারের স্ত্রীকে।

প্রতিবেশী সিনথিয়া আখতার জানান, শনিবার রাতে বাবুল আখতারের স্ত্রী মিতু তাকে ফোনে জানিয়েছেন, তাকে স্কুল থেকে এসএমএস পাঠানো হয়েছে। রোববারে স্কুলে অ্যাসেম্বলি হবে। স্কুলের গাড়িও একটু এগিয়ে আসবে। তাই তাড়াতাড়ি মাহিকে নিয়ে ঘুমাতে হবে।

এদিকে স্কুল থেকে এমন কোনো এসএমএস পাঠানো হয়েছিলো কিনা তা জানতে চাইলে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের স্কুল শাখার উপাধ্যক্ষ সৌমিত কুমার দাশ বলেন, ‘আগেভাগে স্কুল শুরু হবে এমন নির্দেশনা দিয়ে স্কুল থেকে কোনো এসএমএস পাঠানো হয়নি।’ তাহলে খুনিরাই কি ওই এসএমএস দিয়েছিল? এতে প্রাথমিকভাবে স্পষ্ট হত্যাকাণ্ডটি অত্যন্ত পরিকল্পিত। তাই নিহত মিতুর চলার গতিবিধিতে নজর রেখেছিলো তারা।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) পরিতোষ ঘোষ বলেন, ‘দুর্বৃত্তরা আগে থেকেই ঘটনাস্থল রেকি করেছিল। ঘটনাস্থল থেকে ১০০ গজ দূরে বাসা থেকে বের হয়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে কখন আসবেন, তা নিশ্চয় দুর্বৃত্তরা আগে থেকে খোঁজখবর রাখছিল।’ সূত্র: মানবকণ্ঠ।



মন্তব্য চালু নেই