এসআই মাসুদকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা উচিত: হাইকোর্ট

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা গোলাম রাব্বীকে আটক ও নির্যাতনের ঘটনা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রাব্বীর লিখিত অভিযোগ এফআইআর হিসেবে গ্রহণের নির্দেশও দিয়েছেন।

সোমবার বিকেলে সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মাদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি একেএম শহিদুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আদেশ দেন।

আদেশের আগে এসআই মাসুদ শিকদার সম্পর্কে কোর্ট বলেছেন ‘হি ইজ ক্রিমিনাল। এ ধরনের পুলিশ সমাজের বন্ধু নয় শত্রু। তাদের দ্বারা সমাজের কোনো উপকার হবে না। সে একজন অপরাধী।’

এ মামলার শুনানির এক পর্যায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদেশের জন্য সময় চাইলে আদালত বলেন, ‘৯ তারিখের ঘটনা ১৮ তারিখ হয়ে গেছে। এরপর আর কি সময়ের দরকার? এতদিন পার হয়ে গেছে তারপরও কি রাষ্ট্রের তদন্ত করা শেষ হয়নি? একথা বলে আদলত আদেশ দেন।

গতকাল রোববার এ ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও ৩ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে দায়ের করা রিট আবেদন করা হয়। দুপুরে সংশ্লিষ্ট শাখায় রাব্বীর পক্ষে রিট আবেদনটি দায়ের করেন ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান, অ্যাডভোকেট এসএম জুলফিকার আলী জুনু এবং বেসরকারি রেডিও সেন্টারের রিপোর্টার জাহিদ হাসান।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ব্যাংকের কমিউনিকেশন্স বিভাগের কর্মকর্তা গোলাম রাব্বীর ভাষ্য অনুযায়ী, গত ৯ জানুয়ারি রাতে মোহাম্মদপুর তাজমহল রোডে এক আত্মীয়ের বাসা থেকে ফেরার পথে তাকে আটক করে পুলিশ। এরপর তাকে মাদকসেবী বানানোর ভয় দেখিয়ে উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ অর্থ আদায়ের চেষ্টা করেছিলেন। এ চেষ্টায় তাকে মারধরও করা হয়।

বিষয়টি জানাজানি হলে গতকাল শনিবার অভিযুক্ত এসআই মাসুদ শিকদারকে প্রথমে প্রত্যাহার ও পরে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই