এশিয়ান কাপ ফুটবল

এশিয়ার সেরা অস্ট্রেলিয়া

আগে ছিল ওশেনিয়া ফুটবল ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত। তবে ২০০৬ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ার অবস্থান এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনে। ২০০৭ সালে প্রথম এশিয়ান কাপ ফুটবলে অভিষেক অস্ট্রেলিয়ার। সাফল্য কোয়ার্টার ফাইনাল। তবে ২০১১ সালে দুর্দান্ত গতিতে অস্ট্রে্লিয়া উঠে যায় ফাইনালে। কিন্তু জাপানের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ। সব বাধা পেরিয়ে ২০১৫তে সফল তারা। ঘরের মাঠে এশিয়ান কাপ ফুটবলে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব ঠিকই দেখিয়েছে সকারুজরা। শনিবার ফাইনালে দক্ষিণ কোরিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপ ফুটবলের শিরোপা জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। বছর নয়েকের মধ্যেই এশিয়ার ফুটবলের শাসন দন্ড হাতে নিল চারবার বিশ্বকাপ ফুটবলে অংশ নেয়া এই দেশটি।
সিডনি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালটা ছিল বেশ রুদ্ধশ্বাস আর উত্তেজনায় পূর্ণ। এই ম্যাচ দেখতে স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছিল প্রায় ৭৩ হাজার দর্শক। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা ১-১ এ ড্র। ম্যাচ নিষ্পত্তি হয়েছে অতিরিক্ত ত্রিশ মিনিটে। যেখানে সাফল্যের হাসি হেসেছে টিম কাহিলরা।
গোলের জন্য দুই দলকে অপেক্ষা করতে হয়েছে অনেকক্ষণ। প্রথমার্ধের শেষ মূহুর্তে লুঙ্গোর গোলে লিড নেয় অস্ট্রেলিয়া। এই এক গোলেই শেষ হতে যাচ্ছিল রোমাঞ্চকর ফাইনাল। কিন্তু চমকটা দেখায় দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচের শেষ মূহুর্তে। ৯০ মিনিট পর্যন্তও অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে ছিল ১-০তে। তবে অতিরিক্ত সময়ে সন হেং মিনের গোলে ম্যাচে ফেরে দক্ষিণ কোরিয়া। ১-১ ব্যবধানে সমতা থেকেই শেষ হয় নির্ধারিত সময়ের খেলা।
ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত ত্রিশ মিনিটে। এখানে সফল অস্ট্রেলিয়া। ১০৫ মিনিটে ত্রোইসির গোলে ২-১ এ লিড নেয় স্বাগতিক শিবির। শেষ পর্যন্ত এই গোল শোধ করতে পারেনি দক্ষিণ কোরিয়া। ফলে প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে অস্ট্রেলিয়া।
এশিয়ান কাপ ফুটবলে দক্ষিণ কোরিয়া দুইবারের চ্যাম্পিয়ন- ১৯৫৬, ১৯৬০। তবে এরপর চারবার ফাইনালে উঠেও শিরোপার দেখা পায়নি কোরিয়ান শিবির। এশিয়ান কাপ ফুটবলে সর্বোচ্চ চারবারের চ্যাম্পিয়ন জাপান। যারা এই আসরে বিদায় নিয়েছে সেমিফাইনাল থেকেই। তিনবার করে চ্যাম্পিয়ন সৌদি আরব ও ইরান। একবার করে শিরোপা জেতার রেকর্ড আছে অস্ট্রেলিয়া ছাড়াও ইসরাইল, কুয়েত ও ইরাকের।



মন্তব্য চালু নেই