এরাই বিশ্বের সব থেকে ভয়ানক প্রজাতির কুকুর

‘প্রভুভক্তের’ সংজ্ঞা বদলে কুকুর এখন আদ্যোপান্ত পরিবারের একজন সদস্য। সারাটা দিন বাড়িময় তার অবাধ বিচরণে মেতে থাকেন সকলে। কিন্তু বাইরের কেউ এলে চিৎকারে সেই কুকুরই বাড়ি মাথায় তোলে। আবার এমন অনেক কুকুর আছে যাদের আচার-আচরণ ভয়ানক। সেই সব কুকুর তাদের ভয়ঙ্কর আচরণের জন্যই বিখ্যাত। তেমনি কিছু ভয়ঙ্কর কুকুরের প্রজাতি সম্পর্কে জেনে নিন।

রটওয়াইলার: কোনও সন্দেহজনক বস্তুর উপর চোখ পড়লে, তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রবণতা রয়েছে।

পিটবুল: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সব থেকে ভয়ানক সারমেয়। মূলত পুলিশের কাজেই এই প্রজাতির কুকুরের ব্যবহার হয়।

জার্মান শেফার্ড: বুদ্ধিমান, ভয়ডরহীন। এই গুনগুলি রয়েছে জার্মান শেফার্ডের।

আলাস্কান মালামিউটস: এই প্রজাতির কুকুর তাদের চাইতে ছোট আকারের প্রাণীর জন্য মাঝে মধ্যেই ভয়ানক হয়ে ওঠে।

ডোবারম্যান পিনচার: ক্ষিপ্রতার সঙ্গে দৌড়তে পারে এই প্রজাতির সারমেয়। একটা সময় এই প্রজাতির কুকুরকে পুলিশের কাজে ব্যবহার করা হত।

হাস্কিস: ট্রেকিংয়ের কাজে ব্যবহৃত হয় এই প্রজাতির কুকুর। ভীষণ শক্তি আর তেজের কারণে বরফ কেটে খুব জোরে দৌড়ায় হাস্কিসরা।

চাউ চাউ: এই প্রজাতির কুকুর মালিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ভীষণ ভালবাসে। অনেক সময় খুব আক্রমণাত্মকও হয়ে ওঠে।

উল্ফ হাইব্রিড: নেকড়ের সঙ্গে কুকুরের মিলন ঘটিয়ে এই কুকুর তৈরি করা হয়েছিল। এদের আচরণ অনেকটাই শিয়ালের মতোই।

বক্সার: ভীষণ প্রাণবন্ত। আবার খেলাতেও খুব ভাল পারফর্ম করে।

আকিতা ইনু: স্পিত্জ প্রজাতির এই কুকুরকে জাপানের পাহাড়ি সেনাবাহিনীর কাজে লাগানো হয়।

পেররো দে প্রেসা ক্যানারিও: সন্দেহজনক কিছু দেখলেই এরা ভীষণ ক্ষেপে ওঠে। আবার খুব দায়িত্ব পরায়ণও বটে।

ফিলা ব্রাসিলেইরো: সারা গায়ে ডোরা ডোরা দাগ আর বিশাল আয়তনের জন্য এই কুকুরকে দেখতে খুব ভয়ঙ্কর। অনেক দেশেই এদের রাখা নিষিদ্ধ।

গ্রেট ডেন: এদের ড্যানিশ হাউন্ডও বলা হয়। এর তেজ আর বৃহদাকার ভয় পাওয়াতে বাধ্য।

আমেরিকান বুলডগ: পাহারার জন্য এই ধরনের কুকুর একেবারে আদর্শ। পেশীবহুল এই কুকুর হুঙ্কার ছাড়লে আত্মারাম খাঁচা ছাড়া হতে বাধ্য।

সেন্ট বার্নাড: যে কোনও বস্তু উদ্ধার করতে এই প্রজাতির কুকুরের জুড়ি মেলা ভার।

বাসেনজি: এই প্রজাতির শিকারী কুকুর প্রথম দেখা গিয়েছিল মধ্য আফ্রিকায়। এই ধরনের কুকুরকে ভাল ভাবে প্রশিক্ষণ দিলে খুব ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে।

গুল ডং: এই প্রজাতির সারমেয়কে গুল টেররিয়ার এবং বুলি কুত্তার মধ্যে শংকর ঘটিয়ে তৈরি করা হয়েছে। প্রচণ্ড শক্তিশালী এবং সাহসী হয়। কিন্তু অনেক সময়ই গুল ডংকে আটকানো মালিকের পক্ষেও কঠিন হয়ে পড়ে।

বোর বোল: মূলত পাহারার জন্য ব্যবহার করা হয় এই শংকর প্রজাতির কুকুরের শংকর। বোর বোল খুবই বিশ্বস্ত এবং নিজের পরিবারের প্রতি দায়িত্ব পরায়ণ হয়।

ডোগো আর্জেন্তিনো: এই প্রজাতির কুকুর আকারে বেশ বড়সড় হয়। মানুষকে খুব একটা আক্রমণ করে না ডোগোরা। কিন্তু অন্যান্য পশু দেখলেই তাদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে।

রোডেসিয়ান রিজব্যাক: এদের প্রধানত দক্ষিণ আফ্রিকাতেই দেখা যায়। বুদ্ধি এবং চরম সাহসিতার জন্য রিজব্যাক প্রজাতির কুকুরের নাম বিখ্যাত।

বুল টেররিয়ার: এই প্রজাতির কুকুর তাদের বড় ডিম্বাকৃতি মাথার জন্য বিখ্যাত। বুল টেররিয়ার খুবই আক্রমাত্মক।

কেন কোরসো: এরা খুবই পেশীবহুল হয়। রোমান সাম্রাজ্যের আমলে যুদ্ধের জন্যও কেন কোরসো প্রজাতির কুকুর ব্যবহৃত করা হত।

আমেরিকান ব্যান্ডগ: আমেরিকান পিট বুল টেররিয়ার এবং নিয়াপোলিটান মাস্টিফের মধ্যে শংকর ঘটিয়ে এই প্রজাতির কুকুর তৈরি করা হয়েছে। এদের যুদ্ধ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।

তোসা ইনু: এরা প্রায় ৩২ ইঞ্চি লম্বা হয়। সাধারণত এই ধরনের কুকুরকে যুদ্ধের জন্য ব্যবহার করা হয়। অনেক দেশে তোসা ইনুদের পালন আইনত নিষিদ্ধ।



মন্তব্য চালু নেই