এরশাদকাণ্ডে ক্ষেপলেন রওশন

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কর্মকাণ্ডে ক্ষেপেছেন তার স্ত্রী পার্টির সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য রওশন এরশাদ। তবে এসময় এরশাদ উপস্থিত থাকলেও তিনি ছিলেন একেবারেই চুপ।

বুধবার দুপুরে গুলশান-১ এ জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের নিয়ে এক যৌথ সভার বক্তব্যকালে এরশাদের উপর চড়াও হন রওশন। বৈঠকের পুরো সময়ই তিনি পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ ও বিভিন্ন নেতার দোষত্রুটি নিয়ে সমালোচনায় মুখর ছিলেন। পাশাপাশি তার সঙ্গে যোগ দেন আরো বেশকয়েজন নেতা।

বৈঠকের শুরুতেই বক্তব্য রাখেন পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তারপর বক্তব্য রাখেন মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু ও সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য রওশন এরশাদ। এরপরই সেখানে থাকা উপস্থিত মিডিয়াকর্মীদের বের করে দেয়া হয়। তারপর শুরু হয় পার্টির মূল আলোচনা সভা।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, আলোচনায় উঠে আসে পার্টির নানা অসঙ্গতি, বিভিন্ন নেতার ভূমিকা, নির্বাচনে অংশ নেয়া নেতাদের পোয়াবারো হওয়ার বিষয়গুলো। সভায় চেয়ারম্যানের পলিটিক্যাল সেক্রেটারি শুনীল শুভ রায়ের বিষয়েও কথা উঠে। তাকে ইঙ্গিত করে রওশন এরশাদ বলেন, ‘পার্টির অফিসের একজন কর্মচারী কীভাবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়? সে তো আমাদের অফিসের বেতনভুক্ত কর্মচারী। তার মতো কর্মচারী পার্টির হয়ে নির্বাচনে অংশ নিলে দল বেকায়দায় পড়ে। কেননা তারা সুযোগ নেবে কিন্তু দলের বিপদের সময় এগিয়ে আসবে না।’
এ সময় তিনি ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘তারা আবার আমার ব্যাপারেও বিরূপ মন্তব্য করে। এসব বিষয়তো আমার কানে আসে। তাদের ব্যাপারে দলের সবার সতর্ক থাকা উচিৎ।’ সিনিয়র নেতাদের সামনে তাদের বসাও উচিৎ নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রওশনের এমন বক্তব্যের পরই সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের বিষয়ে আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, ‘একজন কর্মচারী কীভাবে স্যারের (এরশাদ) সঙ্গে টকশোতে যায়? এমন আচরণ সত্যিই দুঃখজনক।’
তবে এ বিষয়ে সুনীল শুভ রায়ের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমিতো ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি রয়েছি। কিছুই বলতে পারবো না। তবে এ বিষয়ে স্যারই ভালো বলতে পারবেন।’



মন্তব্য চালু নেই