এবিএম মূসাকে রাজাকার না বলায় সরকারকে ধন্যবাদ

এবিএম মূসাকে রাজাকার না বলায় সরকারকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন নিউএজ পত্রিকার সম্পাদক নুরুল কবির। শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত প্রয়াত সাংবাদিক ও কলামিস্ট এবিএম মূসা স্মরণসভায় তিনি এ ধন্যবাদ জানান। এ সময় নুরুল কবির বলেন, ‘যারা কাদের সিদ্দিকীর মতো মুক্তিযোদ্ধাকে রাজাকার বলতে পারে তারা এবিএম মূসাকেও রাজাকার বলতে পারত। কিন্তু এবিএম মূসাকে সরকার মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গার্ড অব অনার না দিলেও রাজাকার বলেননি। তাই আমি তাদের প্রশংসা করি।’ তিনি বলেন, ‘সামাজিকভাবে সর্বস্তরের মানুষ রিজওয়ানার স্বামীকে অপহরণের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া দেখানোয় অপহরণকারীরা বুঝতে পেরেছিল এ বিষয়টিকে তারা সামলাতে পারবে না। এ কারণেই হয়তো তাকে ছেড়ে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যদি এ ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করে থাকেন তবে তাকে অবশ্যই ধন্যবাদ জানাতে হবে। তবে কি কারণে তাকে অপহৃত করা হলো তা বের করার প্রয়োজন আছে।’
এ সময় কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, ‘অপহরণকারীরা রিজওয়ানার স্বামীকে অপহরণের পর ছেড়ে দিয়েছে। আবার তার পকেটে ৩শ টাকাও দিয়েছে। তাই সন্তুষ্ট হয়ে অপহরণকারীদের ভালো মানুষ হিসেবে আখ্যা দিয়ে বিষয়টিকে চাপা দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উচিত তিনি ঠিক কি কারণে অপহৃত হয়েছেন তা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বের করা।’ ‘আমি উপস্থিত থাকলেও নির্বাচন পরিস্থিতি এরকমই হতো’ ছুটি থেকে ফিরে এসে নির্বাচন কমিশনারের এ বক্তব্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনার জীবনের সবচেয়ে বড় সত্য কথাটি বলেছেন। এ বক্তব্যের মাধমে তার আসল পরিচয়ও ফুটে উঠেছে। এর মানে হচ্ছে ভবিষ্যতে যে নির্বাচনগুলো হবে তার অবস্থা পূর্ববর্তীগুলোর মতোই হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল এবিএম মূসা সম্পর্কে বলেন, ‘প্রথম সাংসদ হিসেবে এবিএম মূসাকে সংসদ ভবনে জানাজা দেয়া হয়নি। কিন্তু ওই সংসদে অনেক চোর বাটপার আছে যাদের মৃত্যুর পর ঠিকই রাষ্ট্রীয় সম্মানে সংসদে জানাজা দেয়া হবে। মূসার মৃত্যুর পর তাকে প্রাপ্য সম্মানটুকু পর্যন্ত দেয়া হয়নি।’
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের স্বামী অপহরণ হওয়ার পর ফিরে এসেছেন প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের কারণে, তাহলে তো বলাই যায় যে চৌধুরী আলম, ইলিয়াস আলী যখন গুম হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী তাদের উদ্ধারের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করেননি। এসব কারণে একটি বিষয়ই স্পষ্ট হয় যে একজন মানুষের করুণার ওপর নির্ভর করেই দেশের মানুষ বেঁচে আছে।’
মান্না আরো বলেন, ‘রিজওয়ানার স্বামী আবু বকর সিদ্দিককে অপহরণ করার পর আবার ফিরিয়েও দেয়া হলো কিন্তু ঠিক কি কারণে, কারা তাকে অপহরণ করলো তা আমরা এখনও জানি না। আবার আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য মতে গত চার বছরে সাড়ে ৪০০ উপর মানুষ অপহৃত হয়েছেন।’
মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে স্মরণসভায় আরো বক্তব্য দেন, দৈনিক মানবজমিনের সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু প্রমুখ।


মন্তব্য চালু নেই