এবার বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতিকারীদের শাস্তি দাবি লতিফের

এবার বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতিকারীদের শাস্তি দাবি করেছেন ছবি বিকৃতির ঘটনায় অভিযুক্ত চট্টগ্রাম-১১ আসনের সাংসদ এম এ লতিফ।

শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এম এ লতিফ বলেন, বাংলাদেশের একমাত্র ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার নির্মাণ করে চট্টগ্রাম চেম্বার বর্তমান সরকার বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনীতির চলমান অগ্রযাত্রায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্র উদ্বোধনকে ঘিরে চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালনা পর্ষদ সর্বসম্মতভাবে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিয়েছিলেন আমাকে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার সম্মতি জানান প্রধানমন্ত্রী। উন্নয়ন ও অর্থনীতিবান্ধব সরকারের প্রবক্তা, প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে দলীয় নেতাকর্মী ও মুক্তিকামী সর্বস্তরের জনগণ তাদের আবেগ ও শ্রদ্ধার স্মারক হিসেবে সারা শহরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি সংবলিত ফেস্টুন, ব্যানার উত্তোলন করে। এই প্রচারণার প্রাক্কালে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কোথাও কোথাও আমার ছবিতে জাতির জনকের মুখমণ্ডল স্থাপন করে আমার বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি বিকৃতির যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সর্বোত মিথ্যা। কোন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষের পক্ষে এ জাতীয় গর্হিত কাজ করার প্রশ্নই উঠে না।

নিজের ছবিতে বঙ্গবন্ধুর মুখমণ্ডল স্থাপন করে ছবি বিকৃতির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে এম এ লতিফ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির অমিত সম্ভাবনা বিকাশের লক্ষ্যে সর্বস্তরের ব্যবসায়ীদের কল্যাণে গত ২০ বছর ধরে আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিত কর্মী হিসেবে আমি ব্যক্তিগতভাবে ব্যথিত ও মর্মাহত। শুধু বিস্ময় দিয়ে আমি নিজেকে সামলাতে পারি নাই, নির্বাক হয়ে ভাবছিলাম পরিশ্রমী মানুষের কর্মফল কি শুধুই নিষ্ঠুর সমালোচনা?

এম এ লতিফ নিজেকে প্রচারবিমুখ দাবি করে বলেন, আমি চাইলে অন্যদের মতো নিজের ছবি দিয়ে ব্যানার ও ফেস্টুন লাগাতে পারতাম। কিন্তু আমি তা করিনি। আমি আমার দক্ষতা দিয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে চাই, প্রচারণা দিয়ে নয়।

কে বা কারা এই কাজ করতে পারে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সাংসদ লতিফ বলেন, দীর্ঘ সাত বছর ধরে মহানগর আওয়ামী লীগের একটি মহল আমাকে বিভিন্ন সময় লাঞ্ছিত করেছে, তারাই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। চট্টগ্রাম বন্দরে যেন কোন প্রকার রাজনৈতিক ঝামেলা না হয় তার জন্য আমি শক্তিশালী পদক্ষেপ নিয়েছি। এতে একটি মহল অখুশি। এর আগেও তারা আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় পত্রিকায় বক্তব্য দিয়ে আমার সংসদীয় আসন শূন্য করে আবার নির্বাচনের দাবি জানিয়েছিল।

সাংসদ লতিফ বলেন, আমি ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে এসেছি কারা এ ধরনের গর্হিত কাজ করেছে তাদের খুঁজে বের করতে। যারা কাজটি করেছে তাদের শাস্তির জন্য প্রচেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান আলোচিত এই সাংসদ।

সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র সহসভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ।



মন্তব্য চালু নেই