এবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন মমতা

বিপুল জনপ্রিয়তার মধ্য দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন ভারতের তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান মমতা ব্যানার্জি। নতুন করে ওই জয়ের পর এখন তার চোখ দিল্লির মসনদে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেই এখন নিজের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ করতে চাইছেন মমতা।

ভারতীয় সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় এখন তৃণমূলের ৩৪ জন সাংসদ রয়েছে। উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় এই সংখ্যাটা ১২। বর্তমান মোদী সরকারকে বিভিন্ন বিল পাশের ক্ষেত্রে উচ্চকক্ষে নির্ভর করতে হয় তৃণমূলের ওপর। এই পরিস্থিতিতে ২০১৯ সালেই দেশ শাসনের স্বপ্ন দেখছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে একা নয়, ফেডারেল ফ্রন্টের মাধ্যমে আগামী লোকসভা নির্বাচনে ক্ষমতা দখলের পরিকল্পনা করেছেন মমতা ব্যানার্জি।

তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘মমতা ব্যানার্জি ফেডারেল ফ্রন্টের নেত্রী হওয়া উচিত। বিকল্প, ধর্ম নিরপেক্ষ মঞ্চ গঠন করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদর্শ নেত্রী।’ কেন্দ্রে কংগ্রেসের পতনশীল অবস্থার কারণে বিরোধী আসন এই মুহূর্তে শূন্যস্থানে পরিণত হয়েছে।

আঞ্চলিক দলের নেতা-নেত্রী হিসেবে মমতা, নিতিশ বা জয়ললিতা এগিয়ে আসতে পারেন মোদীর বিরোধীতায়। তবে ফেডারেল ফ্রন্ট গঠিত হলে মমতাকেই যোগ্য নেত্রী বলে মনে করেন তৃণমূল বিধায়ক শশী পাঁজা। বিজেপি বিরোধী ফেডারেল ফ্রন্ট গঠনে আগ্রহী তৃণমূল অবশ্য সিপিএম বা কংগ্রেসকে নিয়ে গঠিত ফ্রন্টে যোগ দেবেন না। এই বিষয়ে নিজের স্পষ্ট মত জানিয়ে দিয়েছেন দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জি।

লালু প্রসাদ যাদব এবং নিতিশ কুমারের সঙ্গেও এই বিষয়ে প্রাথমিক কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ করে মমতা বলেছেন, ‘মোদীর বিরুদ্ধে সুর চড়ানোর মতো বিরোধী এই মুহূর্তে নেই। নরেন্দ্র মোদীর বড় ইউএসপি হচ্ছে রাহুল গান্ধী।’ ফেডারেল ফ্রন্ট দেশের সার্বিক উন্নতিতে একান্তই প্রয়োজনীয় বলেও মন্তব্য করেছেন মমতা।

যদিও তৃণমূলকে রাজ্যের দিকেই নজর দেয়ার কথা বলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দীলিপ ঘোষ। তার কথায়, ‘মমতার এই মুহূর্তে রাজ্যের দিকেই গুরুত্ব দেয়া উচিত। গত লোকসভা নির্বাচনেও তৃণমূল ফ্রন্ট গঠনের চেষ্টা করেছিল, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে।’ দীলিপবাবু আরো বলেছেন, ‘জ্যোতি বসুও একবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু আজীবন তাকে মুখ্যমন্ত্রী হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল।’



মন্তব্য চালু নেই