এবার নৌকায় তরুণীকে চার যুবক মিলে রাতভর ধর্ষণ

ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন আর নারী নির্যাতনের ঘটনায় দেশব্যাপী ক্ষোভ আর উদ্বেগের এবার গাজীপুরের কালীগঞ্জে নৌকায় এক তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাতে ওই নারীশ্রমিক গণধর্ষণের শিকার হন। একটি নৌকায় চার যুবক ওই ঘটনা ঘটায় বলে ১৮ বছর বয়সী মেয়েটি জানিয়েছেন। এর আগে রাজধানীতে চলন্ত মাইক্রোবাসে সাভারে ট্রাকে নারীকে ধর্ষণ করা হয়।

এ ঘটনায় পুলিশ ফারুক ও শরীফ নামে দুই ধর্ষককে আটক করেছে। ধর্ষিতা ওই তরুণী প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠানের কর্মী বলে জানিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, ঘটনার পর তিনি থানায় গেলেও পুলিশ তাকে হাসপাতালে না পাঠিয়ে বৃহস্পতিবার ভোররাত থেকে বিকেল পর্যন্ত থানায় বসিয়ে রাখে।

কালীগঞ্জ থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আরিফ ওই নারীশ্রমিকের বরাত দিয়ে জানান, বুধবার রাত আটটার দিকে নরসিংদীর পলাশের প্রাণ-আরএফএল কোম্পানিতে কাজ শেষে নিজ বাড়ি কালীগঞ্জের নারগানায় ফেরার জন্য সহকর্মীদের সঙ্গে কোম্পানির একটি নৌকায় ওঠেন।

নৌকাটি শীতলক্ষ্যা নদীর নারগানা ঘাটে ভিড়লে সব শ্রমিক নেমে যাওয়ার পর নৌকার মাঝি মোক্তারপুর গ্রামের হেলালের লম্পট ছেলে আল-আমিন ও খোরশেদ আলমের ছেলে ফাহিম মেয়েটির মুখে গামছা বেঁধে নির্জন স্থানে নিয়ে পালাক্রমে মধ্যরাত পর্যন্ত ধর্ষণ করে। পরে তারা কোম্পানির অপর নৌকার দুই মাঝি একই গ্রামের রিপনের ছেলে ফারুক ও রতন শেখের ছেলে শরীফকে ডেকে আনে এবং ওই নারীশ্রমিককে তাদের হাতে তুলে দিয়ে চলে যায়। পরে ফারুক ও শরীফ রাতভর ওই নারীশ্রমিককে ধর্ষণ করে।

স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ফারুক ও শরীফকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, গণধর্ষণের শিকার ওই নারীশ্রমিককে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত থানায় বসিয়ে রাখলেও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠায়নি পুলিশ। এর ফলে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করতে শনিবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এতে ধর্ষণের আলামত নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

অন্যদিকে দুই রাত দুই দিন ধর্ষিতাকে থানায় অবস্থান করতে হবে, যা অত্যন্ত অমানবিক। কালীগঞ্জ থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ধর্ষণের ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মোক্তারপুর গ্রামের রিপনের ছেলে ফারুক ও রতন শেখের ছেলে শরীফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর ওই নারী পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।



মন্তব্য চালু নেই