এবার নামাজ আদায় হচ্ছে না এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঈদগাহ মিনারে

নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় দিনাজপুরে নির্মাণাধীন এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ ঈদগাহ মিনারে এবার ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় সম্ভব হচ্ছে না। তবে ঈদুল আজহার নামাজ এখানেই আদায় করা সম্ভব হবে বলে জানান বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।

ঈদের জামাত আদায় করার জন্য দিনাজপুর গোর-এ শহীদ বড় ময়দানে নির্মাণ করা হচ্ছে ঈদগাহ মিনার। ৫০ গম্বুজবিশিষ্ট এ বিশাল মিনারে ৫ লাখ মুসল্লি একসঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারবেন।

ঈদগাহ মিনারটির প্রধান গম্বুজের (মেহেরাব) উচ্চতা ৪৭ ফুট ও লম্বায় ৫১৬ ফুট। এর মধ্যে নির্মাণ করা হবে ৩২টি আর্চ। ওই ঈদগাহ মিনারের সৌন্দর্যের জন্য প্রত্যেকটি গম্বুজে সংযোগ করা হবে বৈদ্যুতিক বাতি। যাতে করে রাতের বেলায় আলোকিত থাকবে মিনারটি।

এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ এ ঈদগাহ মিনারটি পুরোপুরি সিরামিক দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। গোর-এ শহীদ বড় ময়দানে অবস্থিত ঈদগাহ মাঠের দু’পাশে মুসল্লিদের চলাচলের জন্য তৈরি করা হচ্ছে রাস্তা। পাশে থাকছে অজুর ব্যবস্থা।

তবে ঈদগাহ মিনারটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় এবার ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করা সম্ভব হবে না বলে জানা গেছে।

দিনাজপুর জেলা পরিষদের উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাকিউল আলম জানান, এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঈদগাহ মিনার নির্মাণে ২ কোটি ৩২ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। তবে মোট ব্যয় হবে প্রায় ৫ কোটি টাকা।

মিনার নির্মাণ কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চললেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা রতন জানান, ঈদুল ফিতরের আগে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। মিনারটি দাঁড় করানো সম্ভব হলেও আনুষঙ্গিক আরো অনেক কাজ বাকি রয়েছে।

জাতীয় সংসদের হুইপ ও দিনাজপুর সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিম জানান, এখনো নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। পুরো কাজ শেষ করেই আমরা এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ এ ঈদগাহ মিনারটিতে ঐহিতাসিকভাবে ঈদের জামাত শুরু করতে চাই। কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। আশা করি আগামী ঈদুল আযহার নামাজ আমরা এই বৃহৎ মিনারেই পড়তে পারবো।

উল্লেখ্য, দিনাজপুর গোর-এ শহীদ বড় ময়দানের আয়তন প্রায় ২৩ একর। অপরদিকে শোলাকিয়ার মাঠের আয়তন সাড়ে ৭ একর বলে জানা গেছে।



মন্তব্য চালু নেই