এবার নাবালিকাকে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যা

ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশে ১২ বছরের এক বালিকাকে তার নিজ বাড়িতে আট দিন ধরে ধর্ষণের পর তাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে এক যুবক।

ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে মেয়েটির গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয় সুনীল নামের ১৯ বছরের ওই যুবক। এরপর তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে মৃত্যু ঘটে মেয়েটির। ধর্ষণের ঘটনা মেয়েটি তার মা-বাবাকে বলে দেয়ার হুমকি দিলে তার গায়ে আগুন দেয় সুনীল।

পাঞ্জাব প্রদেশের শেরপুর জেলার লুধিয়ানা সিভিল হাসপাতালে নেয়ার পর দেখা যায় ভুক্তভোগী ওই বালিকার দেহের ৯৫ ভাগই পুড়ে গেছে। এদিকে মৃত্যুর আগে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দেয়া এক জবানবন্দিতে ঘটনার জন্য দায়ী হিসেবে সুনীলের নাম উল্লেখ করেছে মেয়েটি। সে জানিয়েছে, ঘর্ষণের ঘটনা তার মা-বাবার কাছে বললে সুনীল তাকে খুন করবে বলে হুমকি দিয়েছিল।

মৃত্যুর আগে মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখা গেছে, আট দিন ধরে বারবার নির্মমভাবে ধর্ষণ করা হয়েছিল তাকে। শেরপুর পুলিশের সহকারি কমিশনার এরএস চিমা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, ‘বালিকাটি তার নিজের বাড়িতেই অবস্থান করছিল এবং অভিযুক্ত সেখানে গিয়ে তাকে বারবার ধর্ষণ করতো।’

৮ থেকে ১০ দিন ধরে মেয়টিকে বারবার ধর্ষণ করা হলেও সে তার মা-বাবার কাছে বিষয়টি প্রকাশ করেনি। বুধবার সে ঘটনাটি তার মা-বাবাকে জানানোর সিদ্ধান্ত নেয়। তবে তার আগেই সুনীল তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং হত্যা করে।

এদিকে সুনীলের গ্রেপ্তারের দাবিতে মেয়েটির পরিবার তার মৃতদেহ নিয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। পুলিশ সুনীলের মা-বাবাকে গ্রেপ্তার করলেও সে এখনো পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালে জ্যোতি সিং নামের ২৩ বছরের এক মেডিকেল শিক্ষার্থী ভারতের রাজধানী দিল্লিতে একটি চলন্ত বাসে গণধর্ষণের শিকার হলে তা ভারতে এবং ভারতের বাইরে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে। ধর্ষকের বিচারের দাবিতে ভারতজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

ওই বাসের চালক ২০১৫ সালে বিবিসির ‘ইন্ডিয়ানস ডটার’ নামের একটি ডকুমেন্টারিতে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনাগুলোতে একটি ছেলের চেয়ে একটি মেয়ে অনেক বেশি দায়ী।’ কোনো ছেলে বন্ধুর সাথে রাতে কোনো মেয়ের বাইরে যাওয়া ঠিক না বলে মন্তব্য করেন ওই চালক। এমনকি ধর্ষণের সময় ধর্ষকদের কাছ থেকে কোনো মেয়ের বাঁচতে চেষ্টা করাও উচিৎ নয় বলেও মত দেন তিনি। পরে অবশ্য ডকুমেন্টারিটি ভারতে নিষিদ্ধ করা হয়।



মন্তব্য চালু নেই