এবার জর্ডানের কাছেও বড় ব্যবধানে হার

আন্তর্জাতিক ম্যাচ হলে ফুটবলেও দর্শক হয়। তার প্রমাণ রেখে মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে হাজির হন ১২ হাজার দর্শক। উদ্দেশ্য বাংলাদেশ বনাম জর্ডানের মধ্যকার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ দেখা। শক্তিমত্তায় জর্ডান বাংলাদেশের চেয়ে ঢের এগিয়ে। তবে মাঠের লড়াই জর্ডানের সঙ্গে সমানে-সমান ছিল বাংলাদেশ। শুধু গোল পায়নি। গোলের খেলা ফুটবলে গোলটাই যে জয়-পরাজয়ের নিয়ামক। তাতে বাংলাদেশ ৪-০ গোলের ব্যবধানে হার মেনেছে। এ নিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের চারটি ম্যাচের তিনটিতেই হার মানল মামুনুল-এমিলিরা।

মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে কিক অফের পর প্রথম মিনিটেই ফ্রি কিক পায় জর্ডান। কিন্তু সেটা থেকে কোনো গোল আদায় করতে পারেনি। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি শুরু থেকেই লং পাসে খেলছে। ম্যাচের প্রথম ১০ মিনিট মুহুর্মুহ আক্রমণ শানাতে থাকে জর্ডান। ১১ মিনিটে মাথায় প্রথম আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। কিন্তু কোনো সুবিধা আদায় করে নিতে পারেনি। ১২ মিনিটে দারুণ থ্রো করেন রায়হান। কিন্তু বলটি জর্ডানের গোলরক্ষক ধরে ফেলেন। ১৩ মিনিটে বাংলাদেশের ডি বক্সের মধ্যে হ্যান্ডবল হয়। পেনাল্টি পায় জর্ডান। আবদাল্লাহ দীপ পেনাল্টি থেকে গোল আদায় করে জর্ডানকে এগিয়ে নেন (১-০)। ১৯ মিনিটে কর্নার পায় বাংলাদেশ। কর্নার কিক নেন মামুনুল। ইয়াসিন দারুণ হেড নিলেও বলটি উপর দিয়ে চলে যায়। দারুণ একটি গোলের সুযোগ মিস হয়।

৩২ মিনিটেও গোল শোধের দারুণ একটি সুযোগ তৈরি করেন জুয়েল রানা। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। এ সময় বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন জর্ডানের একজন খেলোয়াড়। এগিয়ে আসেন তাদের গোলরক্ষকও। তিনিও বল ধরতে ব্যর্থ হন। বল ছিল জুয়েল রানার পায়ে। তিনি সরাসরি গোলপোস্টে মারতে না পারায় বাড়িয়ে দেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বলটি জালের ঠিকানা খুঁজে পায়নি।

৩৩ মিনিটে জটলার মধ্য থেকে গোল আদায় করে জর্ডানকে ২-০ গোলে এগিয়ে নেন মোন্থার আবু আমারা। ৩৬ মিনিটে ডি বক্সের সামনে ফ্রি কিক পায় বাংলাদেশ। ফ্রি কিক থেকে নেওয়া মামুনুলের শট সরাসরি জর্ডানের গোলরক্ষক আমের শাফির হাতে গিয়ে জমা হয়। ৪৩ মিনিটে ফাঁকা গোলপোস্ট পেয়ে গোল করতে পারেননি জুয়েল রানা। ফলে প্রথমার্ধে তিন-তিনটি দারুণ গোলের সুযোগ তৈরি করেও গোল আদায় করে নিতে ব্যর্থ স্বাগতিকরা। আর সেই ব্যর্থতার কারণে ২-০ গোলে পিছিয়ে থেকেই বিশ্রামে যায় লোডভিক ডি ক্রুইফের শিষ্যরা।

দ্বিতীয়ার্ধের ৫৭ মিনিটে আবদাল্লাহ দীপ নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করেন। তার জোড়া গোলে ভর করে জর্ডান এগিয়ে যায় ৩-০ গোলে। ৫৯ মিনিটে আরো একটি গোল করে জর্ডান। এবার গোলদাতা ইয়াসিন বাখেত। তার গোলে ভর করে সফরকারীরা এগিয়ে যায় ৪-০ গোলে।

৮০ মিনিটে গোল শোধের দারুণ একটি সুযোগ তৈরি করে বাংলাদেশ। কিন্তু আব্দুল বাতেন কমল সেই সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। পরের মিনিটেই আরো একটি দারুণ আক্রমণ শানায় লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। এবারও ব্যর্থ হয় সেই আক্রমণ। শেষ পর্যন্ত ব্যর্থতার শোলোকলা পূর্ণ করে ৪-০ ব্যবধানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ দল : তপু বর্মন, ইয়াসিন খান, ইয়ামিন আহমেদ মুন্না, জামাল ভূঁইয়া, মামুনুল ইসলাম (অধিনায়ক), জাহিদ হাসান এমিলি, নাসিরুল ইসলাম, মোনায়েম খান রাজু, আতিকুর মিশু, জুয়েল রানা ও রাসেল মাহমুদ (গোলরক্ষক)।

জর্ডান দল : আমের শাফি, বাহা আব্দেল রহমান, মোন্থার আবু আমারা, ওডেই জাহরান, ইয়াসিন বাখেত, আবদাল্লাহ দীপ, ফাদেল হাসান, ইব্রাহিম জাওয়ারেহ, আনাস বানী ইয়াসিন, হামজা আদালাদরেহ ও মোহাম্মদ আল দেমরি।



মন্তব্য চালু নেই