এবার এ্যাম্বুলেন্সে রোগীর পরিবর্তে যাত্রী

হরতাল অবরোধের আওতামুক্ত একটি জরুরী পরিবহন সার্ভিস যার নাম এ্যাম্বুলেন্স বা রোগীবাহী পরিবহন নামে পরিচিত। কিন্ত দেশে টানা হরতাল অবরোধের কারনে এই জরুরী পরিবহনটি এখন রোগীর পরিবর্তে নিয়মিত যাত্রী পরিবহন করছেন।

জানাগেছে বেসরকারী মালিকানাধীন এ্যাম্বুলেন্সের পাশা পাশি নীলফামারীর ৬উপজেলার সরকারী এ্যাম্বুলেন্স গুলোর ও একই অবস্থা এসব রোগীবাহী এ্যাম্বুলেন্স গুলো রোগীর রেখে আসার পর তারা রংপুরের মেডিকেল মোড়ে যাত্রী যাত্রীর তোলার জন্য দীর্ঘক্ষন ধরে অপেক্ষা করেন তার পর যাত্রী বোঝাই করে গন্তব্যে পৌছান। সরকারী এ্যাম্বুলেন্স গুলো সরকারী নিয়ম অনুসারে তারা শুধুমাত্র তাদের নির্ধারিত ভাড়ায় রোগী পরিবহন করতে পারবে কিন্তু রোগী পরিবহনের পাশাপাশি এখন তারা যাত্রী পরিবহনের উপর ঝুকে পরছে।

নিয়মিত যাত্রী পরিবহন করার ফলে এ্যাম্বুলেন্স গুলোর ভিতরের অবকাঠামো রোগীর শোয়ার জন্য সিট গুলো অল্প সময় নষ্ট হচ্ছে অতিরিক্ত যাত্রী উঠার কারনে চাকার বিট সহ টায়ার অল্প সময়ের মধ্যে নষ্ট হচ্ছে এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের কোন মাথা ব্যথা নেই।

নাম প্রকাশ্যে অনইচ্ছুক একজন এ্যাম্বুলেন্স চালকের সাথে সরকারী পরিবহনে যাত্রী উঠানোর বৈধতা আছে কিনা এ ব্যাপরে কথা হলে তিনি জানান যাত্রী উঠানোর অনুমতি না থাকলেও আমাদের পকেট খরচের জন্য অনেক সময় দু-চার জন যাত্রী উঠাইতে হয় এবং এর সিংহভাগ টাকা আমাদের বসকে দিতে হয় বসকে ম্যানেজ না করলে কোনমতেই যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হয় না।

পাগলাপীর ডালিয়া সড়কে যাত্রী বহনকৃত এ্যাম্বুলেন্স গুলো মায়ের দোয়া, রিংকি, জয়া সহ আরও অনেক রয়েছে। এসব এ্যাম্বুলেন্স যথারিতি জরুরী রোগী না থাকলেও যাত্রী পরিবহন করার ক্ষেত্রেও তাদের সতর্ক সিগন্যাল দিয়ে এ্যাম্বুলেন্স গুলো যাতায়াত করছেন।

গত ১৩ফেব্র“য়ারী তারাগঞ্জ উপজেলার মালিক আঃ রহিম এর এ্যাম্বুলেন্স যাহার নং ঢাকা মেট্রো-গ-১৩-২৮৩৯ মাগুড়া দোলা পাড়া নামক স্থানে বিয়ের ভাড়া নিতে আসা দেখা যায়, পরে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে এ্যাম্বুলেন্স চালককে এ্যাম্বুলেন্স সহ আটক করা হলে, চালক আব্দুর ছাত্তার জানান একটি গাড়ী নষ্ট হওয়ার কারনে আমরা এই ভাড়াটি খাটছি এছাড়া এ্যাম্বুলেন্সটি এখনি তারাগঞ্জ থানা থেকে রিকোজিশন খেটে বের হল।

এ ব্যাপারে তারাগঞ্জ থানার এস.আই মোঃ মাইদুল ইসলাম এর সাথে কথা হলে তিনি সত্যতা স্বীকার করে জানান এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া খাটার বিষয়টা এটা কোন ব্যাপার হলো। তাই সরকারী কিংবা মালিকানাধীন এ্যাম্বুলেন্স গুলোর যাত্রী পরিবহন বন্ধ করার ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করছেন সচেতন মহল।



মন্তব্য চালু নেই