এবার আইসিসিকে একহাত নিলেন শচীন

দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে এবারের বিশ্বকাপ খেলছে ১৪টি দল। ২০১৯ বিশ্বকাপে সেটা আর থাকছে না। চারটি দল কমে ওই বিশ্বকাপে খেলবে মোট ১০টি দল। আইসিসির যুক্তি আরও বেশি প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতেই নাকি তাদের এই সিদ্ধান্ত। ক্রিকেট এমনিতেই খেলে গুটি কয়েক দেশ। ফুটবল বিশ্বকাপে যত দেশ খেলে তার অর্ধেকও খেলে না ক্রিকেট বিশ্বকাপে। আইসিসির এই হঠকারী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে সেটা হবে ক্রিকেট বিশ্বায়নের পথে বড় বাধা। নিরুৎসাহিত হয়ে পড়বে আইসিসির সহযোগী দেশগুলো।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে আয়ারল্যান্ড, আফগানিস্তান, স্কটল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দেশগুলো। যারা প্রতিনিয়ত উন্নতি করে যাচ্ছে। যার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে চলতি বিশ্বকাপেও। এখন আর ছোট দলগুলোকে ঠিক ছোট লাগছে না! তার প্রমাণ তো আছে হাতের নাগালেই। আয়ারল্যান্ড প্রথম ম্যাচেই হারিয়ে দিয়েছে দুই বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। জিততে না পারলেও আফগানরা কাঁপিয়ে দিয়েছে লংকানদের।

তবে আইসিসির সহযোগী দেশগুলো পাশে পাচ্ছে ক্রিকেট কিংবদন্তী শচীন টেন্ডুলকারকে। যিনি এবারের বিশ্বকাপের ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর। টেন্ডুলকার আইসিসির এই সিদ্ধান্তকে একহাত নিয়ে সহযোগী দেশগুলোর পক্ষে কথা বলেছেন। তার ভাষায়, ‘ আইসিসির নতুন এই সিদ্ধান্ত ক্রিকেটের বিশ্বায়নের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে। আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, আফগানিস্তানের মতো উঠতি ক্রিকেট শক্তির বিকাশ থেমে যাবে। বড় কথা, ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহী অনেক দেশই খেলাটিতে বিনিয়োগ করা থেকে নিরুৎসাহিত হবে।’

এটা হলে ক্রিকেটের ক্ষতিই হবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়ানোর নামে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে কিভাবে ছোট দেশগুলোকে ক্রিকেট উন্নয়নে সাহায্য করা যায় টেন্ডুলকার সে পরামর্শই দিয়েছে আইসিসিকে, ‘ বিশ্বকাপে দল কমিয়ে আনাটা ঠিক হবে না। আইসিসির উচিৎ তথাকথিত দুর্বল দলগুলোর শক্তি বৃদ্ধি করা। তারা যেন আরও বেশি সুযোগ পায়। টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়া দেশগুলো যদি নিয়মিত আয়ার‌্যাল্ড, আফগানিস্তান, হল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ডের মতো দেশগুলোতে ‘এ’ দলগুলো পাঠায় তাহলে তাদের ক্রিকেট উন্নয়নে দারুন সহায়ক হবে।’



মন্তব্য চালু নেই