এবার অন্য রুপে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী, ফারজানার দায়িত্ব নিলেন মন্ত্রী

রাজধানীর কালশীর বিহারী ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগে পরিবারের নয় সদস্যকে হারানোর পর সড়ক দুর্ঘটনায় বাবাকে হারানো কিশোরী ফারজানা আক্তারের দায়িত্ব নিয়েছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলীর ৪৪ মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে তাকে ডেকে নেয়া হয়। এসময় ফারজানার চিকিৎসা, শিক্ষার পুরো খরচ বহনের ঘোষণা দেন মন্ত্রী।

এছাড়া সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত ‘শিশু পরিবারে’ ফারজানাকে থাকার প্রস্তাবও দেন মহসিন আলী।

বাবার মৃত্যুর পর কয়েকাটি সংবাদ মাধ্যমে ফারজানাকে নিয়ে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশের পর সাড়া মিলেছে অনেক হৃদয়বান ব্যক্তির। অনেকেই এখন ফারজানার খোঁজখবর নিচ্ছেন।

এদিকে ফারজানার বাবা ইয়াসিন আলীর মৃত্যুর জন্য অভিযুক্ত ঘাতক বাস দু’টি শনাক্ত করেছে পুলিশ। দুই বাসের চালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের নির্দেশে দুই দিনের রিমান্ডেও নেয়া হয়েছে।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ ও তথ্য কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম প্রধান বলেন, ‘প্রকাশিত প্রতিবেদন সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর হওয়ার পর সমাজসেবা অধিদপ্তরের একজন উপ-পরিচালককে ফারজানার বাসায় পাঠানো হয়। এরপর খালুকে সঙ্গে নিয়ে সন্ধ্যা ৭টায় মন্ত্রীর বাসায় আসে ফারজানা।’

ঢাকা মহানগর পুলিশের পল্লবী বিভাগের সহকারী কমিশনার মুহাম্মদ কামাল হোসেন জানান, দুই বাস চালক পাল্লা দিয়ে গাড়ি চালানোর সময় ফারজানার বাবা ইয়াসিন আলী নিহত হন। অভিযুক্ত দুটি বাস ও চালককে শনাক্ত করা গেছে। তারা হলেন- পল্লবী সুপার সার্ভিসের (ঢাকা মেট্রো জ-১১-২০৫৩) চালক আল আমিন ও ইটিসি পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো জ- ১১-১৭২২) নজরুল।

এই ঘটনায় দু’টি বাসের কনডাক্টর সুলতান ও হেলপার জসীমকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের দুই দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। তবে টার্গেট করে ইয়াসিনকে হত্যা করা হয়েছে- এমন কোনো তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।
গত ৬ সেপ্টেম্বর ফারজানার ওষুধ আনতে গিয়ে মিরপুরের পুরবী সিনেমা হলের সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন ইয়াসিন। ১৪ জুন বিহারী ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগে ইয়াসিনের পরিবারের নয়জন মারা যায়। বেঁচে ছিলেন তিনি ও তার ১৫ বছরের মেয়ে ফারজানা।

১৪ জুনের ঘটনায় নিহতরা হলেন- ইয়াসিনের স্ত্রী বেবি, মেয়ে আফসানা, ফারহানা, সাহানা, ছেলে আসিফ, লালু, বুলু, আসিফের স্ত্রী শিখা ও ইয়াছিরেন নাতি মারুফ।

ওই সময় আগুনে দগ্ধ ফারজানা দুই মাসের বেশি ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিল। দুঃসহ স্মৃতি না কাটতেই বাবাকে হারালো সে।



মন্তব্য চালু নেই