এফবিসিসিআই নির্বাচনে সংঘর্ষ, আটক ১০

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই নির্বাচনে ( ২০১৫-২০১৭) দুই গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরুর প্রায় দেড় ঘণ্টা পর এ সংঘর্ষ বাঁধে। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সকাল ১০টার দিকে ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ও রব্বানী জব্বারের সমর্থকদের মধ্যে হঠাৎ সংঘর্ষ বেঁধে যায়। পরে এক পক্ষ আরেক পক্ষকে ধাওয়া করে। এসময় হাতাহাতিও হয়। ভোটারদের স্বাগত জানানো নিয়েই দুই পক্ষের কর্মীদের মধ্যে এই ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং ঘটনাস্থল থেকে ১০ জনকে আটক করে।

তবে এ ঘটনায় কেউ গুরুতর আহত হয়নি বলে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে নির্বাচনী বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী আশরাফ বলেন, কোনো প্রার্থী নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট কিংবা আচরণ বিধি ভঙ্গ করলে তার প্রার্থীতা বাতিল করা হবে।

এ প্রসঙ্গে ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি সালমান এফ রহমান বলেন, ‘এ নির্বাচন দেশের ব্যবসায়ীদের প্রাণের নির্বাচন। এফবিসিসিআই দেশ ও দেশের ব্যবসায়ীদের স্বার্থে কাজ করে। জয় পরাজয় কোনো বিষয় নয়। সকলে এক সঙ্গে ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করবেন বলে আশা করি।’

ফেডারেশন ভবনের সামনে দুই প্রার্থীর কর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ শুধু ব্যবসায়ীদের এ নির্বাচনই নয়, কোন নির্বাচনেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কাম্য নয়।’

এদিকে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যতোক্ষণ ভোটাররা আসতে থাকবেন ততোক্ষণ ভোট গ্রহণ হবে।



মন্তব্য চালু নেই