এপিআই শিল্পপার্কে প্লট বরাদ্দ শেষ হচ্ছে অক্টোবরে

চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যেই এপিআই শিল্পপার্কে প্লট বরাদ্দ সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

মন্ত্রী বলেন, প্লট বরাদ্দের পরপরই ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদনের কারখানা স্থাপন শুরু হবে। ফলে ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে খরচ ৭০ ভাগ কমবে বলে জানান তিনি।

বিসিকের আওতায় বাস্তবায়নাধীন ওষুধ শিল্পনগরি প্রকল্পের (এপিআই শিল্প পার্ক) অগ্রগতি পর্যালোচনা সভা শেষে শিল্পমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান। রোববার শিল্প মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প মালিক সমিতির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে সিনিয়র শিল্পসচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এনডিসি, বিসিকের নব নিয়োগপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মুস্তাক হাসান মোহাম্মদ ইফতেখার, বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প মালিক সমিতির মহাসচিব এস এম সফিউদ্দিনসহ শিল্প মন্ত্রণালয় ও বিসিকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সমিতির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে ওষুধ শিল্প উদ্যোক্তারা বরাদ্দ প্রাপ্ত প্লটের বিপরিতে মূল্য পরিশোধের সময়সীমা বৃদ্ধি এবং সার্ভিস চার্জ কমানোর জন্য শিল্পমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।

জবাবে শিল্পমন্ত্রী বরাদ্দকৃত প্লটের মূল্য পরিশোধের সময়সীমা পাঁচ বছরের পরিবর্তে দশ বছর এবং বিসিক নির্ধারিত সার্ভিস চার্জ শতকরা ২০ ভাগ থেকে কমিয়ে সাড়ে ১২ ভাগ নির্ধারণ করেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশে উৎপাদিত ওষুধ ইতিমধ্যে বিশ্বের ১৩৩টি দেশে রফতানি হচ্ছে। স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ পেটেন্টেড ওষুধ উৎপাদনে ডব্লিউটিও থেকে ২০৩৩ সাল পর্যন্ত ছাড় পেয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগাতে দ্রুত এপিআই শিল্পপার্ক বাস্তবায়নের এগিয়ে আসতে উদ্যোক্তাদের সহায়তা কামনা করেন তিনি।

উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার ওষুধ উৎপাদন হচ্ছে। এ থেকে অভ্যন্তরীণ চাহিদার শতকরা ৯৭ ভাগ মিটিয়ে বিদেশেও রফতানি হচ্ছে। এপিআই শিল্পপার্ক স্থাপন হলে, ওষুধ শিল্পের কাঁচামালের দেশিয় চাহিদার শতকরা ৭০ ভাগ যোগান দেয়া সম্ভব হবে।



মন্তব্য চালু নেই