‘এতো নেতাকর্মী! আন্দোলনে থাকে না কেন?’

বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিলে নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট, সোহরাওয়ার্দী উদ্যাগ ও রমনা এলাকা মানুষের স্রোত নেমেছে। পুরো এলাকা পরিণত হয়েছে জনসমুদ্রে।

হাজারো মানুষের ভিড়ে কাউন্সিলের মূল প্যান্ডেলে ঢুকতে না পেরে ক্ষোভের সঙ্গে শাহিনুর ইসলাম নামে বিএনপির এক কর্মী বলেন, ‘বিএনপির এতো নেতাকর্মী, কিন্তু রাজপথে কাউকে দেখা যায় না কেন? এই নেতাকর্মীদের একশ’ ভাগের একভাগও যদি রাজপথে নামে তাহলেও আন্দোলন সফল হতো।’

শাহিনের এমন বক্তব্যের সঙ্গে সায় দিলেন বগুড়া থেকে আসা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ফিরোজ আলম। তিনি বলেন, সেই বগুড়া থেকে আসলাম। কিন্তু কাউন্সিলের মূল প্যান্ডেলে ঢুকতে পারলাম না। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যও শুনতে পারছি না। এতো নেতাকর্মী এতোদিন ছিল কোথায়, প্রশ্ন তার।

এমন প্রশ্নের উত্তর দিলেন ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি ফিরোজ আহমেদ ভুলু। তিনি বিএনপির এই ষষ্ঠ কাউন্সিলের একজন কাউন্সিলর। বললেন, পুলিশ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেভাবে গুলি করে নেতাকর্মীরা এরমধ্যে কীভাবে রাস্তায় নামবে। তিনি বলেন, পুলিশ যদি নিরপেক্ষ থাকে তখন খেলাটা বুঝানো যায়। রাজপথে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এক ঘণ্টাও বিএনপি সঙ্গে টিকতে পারবে না।

সবকিছুর ছাপিয়ে এবারের কাউন্সিলে এই নেতার প্রত্যাশা, যোগ্য নেতৃত্ব পাওয়া। এই যোগ্য নেতৃত্ব যেন আগামী দিনের সফল আন্দোলন রচনা করতে পারে। আমরা তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে সফল আন্দোলনে পথে সারথী হতে চাই বলেও জানালেন তিনি।

ঈশ্বরগঞ্জ উপজলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট কাজী শাহজাহান বলেন, একটি ভাল কমিটি দরকার। এই কাউন্সিলে সঠিক নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়ে আগামী দিনের আন্দোলেনে বিপ্লবী ভূমিকা রাখবে- এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি হোসেন মোহম্মদ মণ্ডল জানান, এই কাউন্সিলের মাধ্যমে ১১টি সাংগঠনিক বিভাগ ঘোষণা করা হয়েছে। ১১টি সংগঠনের মাধ্যমে প্রত্যেকটি জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটিকে শক্তিশালী করে একদলীয় স্বৈরশাসনের অবসান ঘটানো হবে। গণতন্ত্রের আন্দোলন বেগবান করা হবে।

বিএনপির স্থানীয় এই নেতা বলেন, এই কাউন্সিলে সঠিক নেতৃত্ব ঠিক হলে তাদের নির্দেশে পুলিশের হামলা, মামলা ও গুলি উপেক্ষা করে আমরা রাজপথে থাকবো। দাবি আদায় করে ছাড়াবো ইনশাআল্লাহ।



মন্তব্য চালু নেই