এটাই আমাদের সঠিক সিদ্ধান্ত হবে : মুশফিক

ড্র নয়, খুলনা টেস্টে জয়ই চান টাইগার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তবে এ টেস্ট জিততে হলে চ্যালেঞ্জ নিতে হবে টাইগারদের, এর জন্য তার দল প্রস্তুত বলে মনে জানান তিনি। সোমবার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মুশফিক।

আগামীকাল মঙ্গলবার খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে দুই দলের মধ্যে সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচ শুরু হবে সকাল দশটায়।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই টেস্টের লক্ষ্য নিয়ে কথা বলতে হয় মুশফিককে। তবে জয়ের বিকল্প ভাবছেন না তিনি। বলেন, ‘ড্রয়ের কথা ভেবে খেললে রক্ষণ ভাব চলে আসে। তবে এসব নির্ভর করছে ম্যাচের পরিস্থিতির ওপর। তারপরও আমাদের ম্যাচে নামতে হবে জয়ের লক্ষ্য নিয়েই। দলে অনেক ম্যাচ উইনার খেলোয়াড় আছে। এটা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ, নতুন চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত হব। আমি মনে করি, আমাদের জয়ের চিন্তা করাই ভালো। আর এটাই আমাদের সঠিক সিদ্ধান্ত হবে।’

ওয়ানডেতে সফরকারীদের হোয়াইটওয়াশ ও টি-টোয়েন্টিতে জয় পাওয়ায় বাড়তি আত্মবিশ্বাস রয়েছে টাইগারদের, মুশফিক মনে করেন তেমনই ‘সর্বশেষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দু’টি টেস্টে বাংলাদেশ জিতেছিল, আমরা তো জয়ের মধ্যেই আছি।’

দলের প্রায় সব খেলোয়াড়ই ফর্মে আছে জানিয়ে মুশফিক বলেন, ‘আমাদের বোলিং আক্রমণ যেমন তাতে ২০ উইকেট নেওয়ার ক্ষমতা আছে। ব্যাটসম্যানদেরও ৬০০ প্লাস রান করার মতো ক্ষমতা আছে। দলের ফিল্ডাররা প্রাপ্ত সুযোগগুলো যদি কাজে লাগাতে পারে রেজাল্ট আমাদের পক্ষে আসবে।’

পাকিস্তানের বিপক্ষে এখনো কোনো টেস্ট ম্যাচ না জেতার আক্ষেপ দূর হবে মনে করে মুশফিক। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের বিপক্ষে যতগুলো টেস্ট খেলেছি এত ভালো মানসিক অবস্থা নিয়ে এর আগে মাঠে নামেনি। আমরা আত্মবিশ্বাসী। ৫ দিন ভালো ক্রিকেট খেলার আত্মবিশ্বাস আমাদের মধ্যে রয়েছে। লড়াইয়ের জন্য মানসিক ও শারিরিক ভাবে প্রস্তুত ক্রিকেটাররা।’

ওয়ানডেতে মাশরাফি বিন মুর্তজা অধিনায়ক হিসেবে দুর্দান্ত করেছেন। সুতরাং টেস্টে ভালো করার জন্য মুশফিকের ওপর চাপ থাকবে কি না? এমন প্রশ্নের উত্তওে টেস্ট অধিনায়ক বলেন, ‘চাপ নেই। তবে চ্যালেঞ্জ বলতে পারেন। আমাদের ওয়ানডে ও টি-২০ ভালো হয়েছে। ঠিক তেমনই চেষ্টা করব টেস্ট সিরিজে। পাকিস্তান টেস্টের চার নম্বর দল। ওদের টেস্ট স্কোয়াডে অভিজ্ঞ কিছু খেলোয়াড় আছে। আমি বলব এটা চাপ নয়, এখানে প্রত্যাশা জড়িত। আশা করছি, ৫ দিন যদি আমরা সেরা ক্রিকেট খেলতে পারি তাহলে রেজাল্ট আমাদের পক্ষেই আসবে।’

খুলনাকে বলা হয় টাইগারদের লাকি ভেন্যু। টেস্ট ম্যাচ জয়ে এই ভেন্যু কোনোভাবে সহায়ক হবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে মুশফিক বলেন, ‘হ্যাঁ, এটা তো বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাবে। বেশ কিছুদিন ধরে লংগার ভার্সন খেলছে না ক্রিকেটাররা। এটার প্রভাব পড়বে এই টেস্টেও। হয়তো অনুশীলন ম্যাচ খেলতে পারলে ভালো হতো। তবে এই দলের প্রায় সব খেলোয়াড়ই খেলার মধ্যে ছিল। আর তাদের যোগ্যতা রয়েছে টেস্টে ভালো করার।

পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮ টেস্টের একটিতেও জয় পায়নি বাংলাদেশ। এর মধ্যে ৪টি ম্যাচই বাংলাদেশ হেরেছে ইনিংস ব্যবধানে। ২০০৩ সালে মুলতান টেস্টে বাংলাদেশের সামনে সুযোগ এসেছিল টেস্ট জেতার। কিন্তু শেষ অবধি জয় ধরা দেয়নি। মুলতান টেস্টের আক্ষেপ মুশফিকের মনে নাড়া দেয়। অবশ্য মুশফিক তখনও বিকেএসপির ছাত্র। এ ব্যাপারে মুশফিকের ভাষ্য, ‘খেলাটা দেখে খুবই কষ্ট পেয়েছিলাম। আক্ষেপ অবশ্যই আছে। আক্ষেপ শুধু এটা নয়, টেস্ট ক্রিকেটে আমাদের যে ক্ষমতা সেই অনুযায়ী আমরা শেষ ১৫ বছর ধরে টেস্ট খেলতে পারেনি। সত্যি বলতে শেষ ২ বছর ধরে আমরা বাইরে এবং হোমে খুব ভালো ক্রিকেট খেলছি।’



মন্তব্য চালু নেই