এক হালি ইলিশ ৪০,০০০ টাকা!

এবারের পহেলা বৈশাখে বাজারে ইলিশের চরম সংকট। সে কারণে ইলিশের দামও অনেক চড়া। মওসুম না হওয়ায় এবার বড় আকারের ইলিশ মিলছে না বাজারে। যাও দু’একটা আসছে তার দাম নেয়া হচ্ছে প্রচুর। কাওরান বাজারে বড় আকারের এক হালি ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৪০ হাজার টাকায়। আল্লাহর দান ফিস দোকানের মালিক মো. শুক্কুর আলী ও মো. সুমন জানান, শনিবার একহালি ইলিশ বিক্রি করা হয়েছে ৪০,০০০ টাকা।

এক ব্যবসায়ী ক্রেতা এ ইলিশ কিনে নেন। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী বলে জানান সুমন। প্রতি পিস দুই কেজি থেকে দুই কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের চারটি ইলিশের অর্ডার দেন দুই সপ্তাহ আগে। অগ্রিম দিয়ে যান ১০,০০০ টাকা। সুমন বলেন, মেহেদী হাসান বলেছিলেন ইলিশ তাজা ও টাটকা চাই। টাকার সমস্যা হবে না। সে কারণে বিশেষ যত্নে চাঁদপুরের হাইমচর থেকে এ মাছ আনা হয়। এতে কোন বরফ দেয়া হয়নি।

সুমন আরও জানান, রোববার পূর্ব অর্ডার থেকে ২০০ পিস ইলিশ বিক্রি করা হয়। একই দিন খুচরা ১৫০ পিস বিক্রি করা হয়েছে। সুমন বলেন, গতকাল সোমবার বিক্রি করা হয়েছে ৫০০ পিস ইলিশ। ইলিশের বড় আড়ত যাত্রাবাড়ী বাজারেও চড়া দামে ইলিশ বিক্রি করতে দেখা গেছে। ফুয়াদ নামে এক ক্রেতা জানান, এক কেজি থেকে একটু কম ওজনের একটি ইলিশ কিনেছেন ১৪০০ টাকা দিয়ে।

মেসার্স শাহরিয়ার ফিসের আবদুল মান্নান জানান, গত কয়েক দিনে যাত্রাবাড়ী বাজারে প্রতিহালি ইলিশের সর্বোচ্চ দর ওঠেছে ২৬,০০০ হাজার টাকা। এছাড়া, একই দিন ঠাঁটারি বাজারে দুই কেজির একটু বেশি একটি ইলিশ ১২,০০০ টাকায় বিক্রি হয় বলে নিশ্চিত করেন মান্নান। দাম চড়ার কারণ ব্যাখ্যায় ব্যবসায়ীরা জানান, মওসুম না থাকায় ইলিশের দাম বেড়ে গেছে। তারা বলেন, নদীতে এখন কোন মাছ নেই। ভাগ্য ভাল হলে দু-একটি মাছ ধরা পড়ছে।

এছাড়া, বাজারে এখন যে সব ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এগুলোর ৮০ থেকে ৯০ ভাগই আগের মাছ। অন্তত এক থেকে দেড় মাস আগে কোল্ড স্টোরে এসব মাছ রাখা হয়েছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সাদা বস্তা মোড়ানো ইলিশ মাছ। প্রতি বস্তায় রয়েছে ৮ থেকে ১৩ পিস। ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের ওই সব ইলিশের প্রতিবস্তা বিক্রি হচ্ছে ৬ হাজার টাকা থেকে ১৪ হাজার টাকা পর্যন্ত। যার থেকে যেভাবে নিতে পারছে সেভাবে নিচ্ছে। যাত্রাবাড়ী বাজারের লিটন নামের একজন ক্রেতা অভিযোগ করেন, ইলিশ মাছ কিনতে গিয়ে দেখি অনেক মানুষের ভিড়। একেকজন একেক দাম বলছেন।



মন্তব্য চালু নেই