এক বছর শ্যাম্পু না করলে কী ঘটে?

আধুনিক পৃথিবীতে মাথার চুল পরিষ্কারে শ্যাম্পু একটি অন্যতম অনুষঙ্গ। শরীর পরিষ্কারের জন্য যেমন সাবান প্রয়োজন, ঠিক তেমনি চুল ও মাথার তালু পরিষ্কারের জন্য শ্যাম্পু প্রয়োজন। তবে অনেকেরই ধারণা, নিয়মিত শ্যাম্পু ব্যবহারে চুলের ক্ষতি হয়, চুল ঝরে পড়ে।

ডেইলি মেইলের খবর অনুযায়ী, পৃথিবীর বেশ কিছু বিখ্যাত মানুষ কয়েক বছর ধরে তাঁদের জীবন থেকে শ্যাম্পুকে ছুটি দিয়েছেন। শুধু তা ই নয়, তাঁরা ‘নো পু’ নামের এক আন্দোলন শুরু করেছেন শ্যাম্পু ব্যবহারকে নিরুৎসাহিত করার জন্য। বিখ্যাত সংগীতশিল্পী অ্যাডেলের মতো খ্যাতনামা ব্যক্তিত্বরাও এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত।

তাঁদের বক্তব্য অনুযায়ী, শ্যাম্পুর উপাদানগুলো চুলের স্বাস্থ্যের পক্ষে কখনোই অনুকূল নয়। উপকার তো দূরের কথা, শ্যাম্পু ক্ষতিই বেশি করে চুলের। শুধু চুল নয়, ত্বকেরও ক্ষতি হয় শ্যাম্পুতে। তাই জীবন থেকে শ্যাম্পুকে একেবারেই বাদ দিয়েছেন তাঁরা। সাদা জলে চুল ধুয়ে মাসের পরে মাস কাটিয়ে দেন তাঁরা। চুলের কোনো ক্ষতি তো হয়ই না, বরং চুল আরো ভালো থাকে বলে অভিমত তাঁদের।

অ্যাডেলে বলেন, ‘অনেকেরই ধারণা নিয়মিত শ্যাম্পু ব্যবহার না করলে চুল পরিষ্কারও থাকবে না, আর খুশকিও দমন হবে না। সপ্তাহে অন্তত এক থেকে দুবার চুলে শ্যাম্পু করতে হয়। নয়তো মাথায় ময়লা জমে চুলকাতে থাকে, খুশকি হয় এবং চুলপড়া শুরু হয়। কাজেই চুলের এসব সমস্যা দূর করতে নিয়মিত শ্যাম্পু ব্যবহার করতেই হবে।’

কিন্তু ‘নো পু’ আন্দোলনকারীদের যুক্তি, আমাদের মাথা থেকে নিঃসৃত প্রাকৃতিক তেল চুলকে তার স্বাভাবিক ছন্দে বাড়তে সাহায্য করে। সেই তুলনায় কেমিক্যালযুক্ত শ্যাম্পু সেই বৃদ্ধিকে বাধা দেয়। এমনকি স্বাভাবিকভাবে চুল পড়াও রোধ করে।

‘বারবার শ্যাম্পু করলে এই ন্যাচারাল অয়েলের নিঃসরণ কমে আসে। শ্যাম্পুর প্রয়োগ চুলের স্বাভাবিক আর্দ্রতাকেও কমিয়ে দেয়। আর যেসব শ্যাম্পুতে ডিটারজেন্ট থাকে, সেগুলো নিয়মিত ব্যবহারে চুলের ক্ষতি হয়, চুল আঠালো হয়ে যায়।’ যোগ করেন অ্যাডেলে।

আর তাই ‘নো পু’ আন্দোলনের বক্তব্য অনুযায়ী, এক বছর কেন সারা জীবন শ্যাম্পু না করলেও কিছু যায় আসে না। বরং তাতে চুলেরই লাভ।



মন্তব্য চালু নেই