এক পুলিশ অফিসারের এ মহানুভবতা সকল পুলিশের জন্য আদর্শ হতে পারে

ভাড়া না থাকায় মেয়েটিকে বাস থেকে নেমে যেতে বলেন হেলপার (চালকের সহকারী)। তখনই সে কেঁদে ওঠে। বলতে থাকে, ‘আমি হারিয়ে গেছি…’।
গত শুক্রবার রাত সাড়ে আটটায় কুমিল্লার ময়নামতি বাসস্টেশন এলাকার ঘটনা এটি। ওই বাসেই ছিলেন সিলেট মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (ট্রাফিক) মাহফুজ জামান সরকার। তিনি মেয়েটিকে তার বাড়ি কোথায় জিজ্ঞেস করেন। মেয়েটি বলে, বাড়ি ছাতকে। তার বয়স ১৩-১৪ বছর।

সহকারী কমিশনার মেয়েটিকে সঙ্গে নিয়েই সিলেটে ফেরেন। রাত সাড়ে তিনটার দিকে সিলেট কোতোয়ালি থানার ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয় তাকে।
গতকাল শনিবার ছাতক থানার মাধ্যমে খোঁজ মেলে মেয়েটির বাবা-মায়ের। খবর পেয়ে তাঁরা গতকাল সন্ধ্যায় ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে গিয়ে হারানো মেয়েকে ফিরে পান।

সিলেট কোতোয়ালি থানার ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার সূত্র জানায়, মেয়েটির নাম জাহেদা। বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতকের সোনাপুর এলাকায়। ছাতক থানার মাধ্যমে খবর পেয়ে মেয়েটির বাবা আবদুল বাতেন গতকাল সন্ধ্যায় ছুটে আসেন সিলেটে। তিনি সাংবাদিকদের জানান, গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে মেয়ের খোঁজ পাচ্ছিলেন না। মেয়েটি তার বাবাকে জানায়, একটি গাড়িতে ওঠার পর কোথায় আছে, সে বলতে পারছিল না। গাড়িতে কেন উঠেছিল, সেটিও ঠিকঠাক বলতে পারছিল না।

এসি মাহফুজ জামান সরকার জানান, তিনি কুমিল্লা থেকে বাসে করে সিলেটে ফিরছিলেন। ওই গাড়িতে ছিল মেয়েটি। বাসভাড়া না থাকায় গাড়ির হেলপার ময়নামতি এলাকায় নামিয়ে দিতে চাইলে কান্না শুনে মেয়েটির কাছে যান। তিনি বলেন, ‘বাড়ি ছাতক বলায় মেয়েটিকে সঙ্গে করে নিয়ে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের জিম্মায় দিয়েছি। দ্রুতই মেয়েটি তার বাবাকে ফিরে পাওয়ায় ভালো লাগছে।’



মন্তব্য চালু নেই