এক গ্লাস বিটের রসের নানান স্বাস্থ্য উপকারিতা

আপনি কি প্রায় সময় অসুস্থ থাকেন? জ্বর, ঠান্ডা, সর্দি আপনার সারা বছর লেগে থাকে? আমাদের চারপাশে নানা ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস রয়েছে, যা অসুস্থতার জন্য দায়ী। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তারা দ্রুত এই জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকেন। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। বিটের জুস শরীরের অভ্যন্তরীণ ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে তোলে। শুধু তাই নয় ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতেও এটি বেশ কার্যকর। এক গ্লাস বিটের রসের রয়েছে নানা স্বাস্থ্য উপকারিতা।

১। রক্তচাপ বৃদ্ধিতে

বিটের রস দ্রুত রক্তচাপ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এটি রক্তনালীসমূহ উন্মুক্ত করে দেয় যা দেহের রক্ত চলাচল সচল রাখে।

২। ক্যান্সার প্রতিরোধে

১৯৫০ সালে চিকিৎসক Alexander Ferenczi প্রথম বিটের রস ক্যান্সার রোগীর উপর সফল পরীক্ষা চালান। কাঁচা বিটের রস ক্যান্সারের কোষ নষ্ট করে দেয়। আরেক গবেষণায় দেখা গেছে বিট ক্যান্সারের টিউমার এবং leukemia প্রতিরোধ করে থাকে।

৩। রক্ত স্বল্পতা দূর

বিটে প্রচুর পরিমাণ আয়রন রয়েছে। যা নতুন রক্ত কোষ তৈরি করতে সাহায্য করে। এটি রক্তস্বল্পতা দূর করে। এটি অনিয়মিত মাসিকের একটি ভাল প্রতিরোধক।

৪। তাৎক্ষনিক এ্যানার্জি বৃদ্ধি

ব্যায়াম করার সময় অনেকেই ক্লান্তবোধ করে থাকেন। ব্যায়াম করার শক্তি পান না। ব্যায়ামের সময় এক গ্লাস বিটের রস ব্যায়াম করার এ্যানার্জি ১৬% পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়।

৫। হজমের সমস্যা দূরীকরণ

বিটের রস পেটের নানা সমস্যা যেমন ডায়ারিয়া, জন্ডিস, বমি বমি ভাব, আমাশয় ইত্যাদি সমস্যা সমাধান করে থাকে। বিটের রসের কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য এতে এক টেবিল চামচ মধু অথবা এক চা চামচ লেবুর রস মেশাতে পারেন। এটি প্রতিদিন একবার পান করুন।

৬। হাড় মজবুত করতে

বিটের রসে প্রাকৃতিক স্যালিকা রয়েছে যা হাড়ের ক্যালসিয়ামকে শোষণ করতে সাহায্য করে। এটি হাড় মজবুত করে তোলে।

৭। ত্বকের জন্য উপকারী

বিটকে বয়স প্রতিরোধক বলা হয়। এতে ফলেট নামক উপাদান রয়েছে যা বলিরেখা, ব্রণ প্রতিরোধ করে। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে প্রতিদিন এক গ্লাস বিটের রস পান করতে পারেন।

যা যা লাগবে:

১ কাপ বিটের রস

১ টেবিল চামচ মধু

যেভাবে তৈরি করবেন:

বিটের রস এবং মধু একসাথে ভাল করে মিশিয়ে নিন। ডায়াবেটিসের রোগী হলে মধু এড়িয়ে যেতে পারেন। এটি প্রতিদিন পান করুন।



মন্তব্য চালু নেই