একের পরে এক ২০০০ টাকার নোট পাপড়ভাজা! রাজ্যে আতঙ্ক, কী বলছে ব্যাঙ্ক?

কয়েকদিন আগেই ২০০০ টাকার নোট পাপড়ভাজার মতো ভেঙে বিপদে পড়েছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলির বাসিন্দা এক কৃষক। নোট নামক ভাজা পাঁপড় নিয়ে এবারে সমস্যায় খোদ পঞ্চায়েত সদস্যা। বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া পঞ্চায়েতের সদস্যা গোলাপি হালদার তাঁর ছেলেমেয়ের বই কিনতে আর ইলেকট্রিকের বিল দিতে ব্যাঙ্ক থেকে পাঁচ হাজার টাকা তুলেছিলেন। বড় ছেলেকে দিয়ে বালুরঘাটের এসবিআই শাখার অ্যাকাউন্ট থেকে ২০০০ টাকার দু’টি ও ৫০০ টাকার দু’টি নোট তুলিয়ে এনেছিলেন।

তার মধ্যে প্রথম দিনই ২০০০ টাকা খরচ করে বাকি টাকা দশম শ্রেণিতে পাঠরত দুই ছেলেমেয়ের বই কেনার জন্য রেখে দিয়েছিলেন আলমারির ভিতর। সোমবার সকালে বই কিনতে এবং ইলেকট্রিকের বিল দিতে সেই টাকা বের করতে গিয়ে দেখেন তা ভেঙে যাচ্ছে। সোমবারই তিনি ঝুরঝুরে নোট দু’টি ব্যাংকে নিয়ে যান। কিন্তু ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে যে আরবিআই-এর কোনও নির্দেশিকা না থাকায় এবিষয়ে তাদের কিছুই করার নেই।

নতুন টাকা ভেঙে যাওয়ায় চরম সমস্যায় পড়তে হয়েছে বালুরঘাটের খিদিরপুর এলাকার বাসিন্দা ওই পঞ্চায়েত সদস্যাকে। ভাঙা নোট নিয়ে বইয়ের দোকান ও ইলেকট্রিক অফিসে গেলে কোথাওই তা না নেওয়ায় অসহায় অবস্থার মধ্যে তাঁকে পড়তে হয়েছে।

একই অবস্থা হয়েছে হিলির বৃদ্ধা সুভাষীবালা দাস, রাজমিস্ত্রি-শ্রমিক সুরজিৎ সরকার ও কৃষক জামাত আলিরও। এঁদের মধ্যে কেউ ব্যাঙ্ক অথবা এটিএম থেকে ২০০০ হাজার টাকার নোট পেয়েছিলেন। সেই টাকা কয়েকদিন বাড়িতে রাখার পর খরচের জন্য বের করতে গিয়ে দেখেন তা ভেঙে যাচ্ছে। নোট ভেঙে যাওয়ায় এবারের পৌষ সংক্রান্তিতে তাঁর নাতি-নাতনিদের পিঠে পুলি খাওয়াতে পারলেন না বলে দাবি করেছেন সুভাষীবালা দেবী।

নতুন নোট ভেঙে যাওয়ার এই সমস্যার কথা শুনেছেন বালুরঘাটের সাংসদ অর্পিতা ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে সংসদে সরব হবেন।



মন্তব্য চালু নেই