একাধিক তৃতীয় বিভাগ ১১ অতিরিক্ত সচিব, ১৭ যুগ্ম-সচিবের!

বাংলাদেশ সরকারের ১৭ জন অতিরিক্ত সচিব ও ৩৭ যুগ্ম-সচিবের শিক্ষা জীবনে একাধিক তৃতীয় বিভাগ থাকার খবর পাওয়া গিয়েছে। এসব কর্মকর্তাদের অধিকাংশই প্রশাসন ক্যাডার থেকে পদোন্নতি পেয়ে সরকারের যুগ্ম-সচিব ও অতিরিক্ত সচিব হয়েছেন।

শিক্ষা বিষয়ক বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় নিউজ পোর্টালের অনুসন্ধানী রিপোর্টে এ খবর সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে।

প্রকাশিত ওই খবরে বলা হয়েছে, এসব অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্ম-সচিবদের অধিকাংশই বিএ/বিএসসি/বিকম পাসকোর্স পাস করে চাকরিতে ঢুকেছেন। পরবর্তীতে তারা সরকারি/মানহীন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষার সার্টিফিকেট নিয়ে পদোন্নতিতে কাজে লাগিয়েছেন।

অনেকে অবৈধভাবে চলা বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশের শাখা থেকে এমবিএ/পিএইচডি/এমফিল ইত্যাদিও নিয়েছেন। তবে সংবাদ মাধ্যমে বিরুপ প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ায় অনেকেই পিএইচডি খেতাব ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকছেন কয়েকজন।

১৯৮৪ ব্যাচের যুগ্ম-সচিব মো. আবদুর রাজ্জাক তৃতীয় বিভাগ পেয়ে বিএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। উপ-সচিব থাকাকালে ২০০৬ সালে তিনি প্রাইম ইউনিভার্সিটির একটি শাখা থেকে এলএলবি’র ও পরবর্তীতে এমবিএ’র সার্টিফিকেট নিয়ে পদোন্নতি পেয়েছেন।

যুগ্ম-সচিব তাজুল ইসলাম চৌধুরী ও মোখলেছুর রহমানও একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একাধিক ডিগ্রি নিয়েছেন বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে সাবেক মন্ত্রীপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী পদে চাকরির জন্য পৃথিবীর কোথাও এক্সট্রাঅডিনারি মেধাবীরা ভীড় জমান না। ট্যালেনটেড যারা তারা আবিষ্কার করেন নতুন কিছু সৃষ্টি করেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় সারির মেধাবীরা সেসব প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে জীবন পার করে দেন। এটা সারা পৃথিবীতেই চলমান।
সরকারি চাকরিতে কাজের যে ন্যাচার তাতে খুব মেধাবী লোকের দরকারও নেই। মধ্যম মানের মেধাবী হওয়াই যথেষ্ঠ। তবে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনেক কর্মকর্তা, সচিব, অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম-সচিবসহ অনেক কর্মকর্তাই রয়েছেন মেধাবী। তারা নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে মেধার পরিচয় দেন। এটা দেশের জন্য ভালো।



মন্তব্য চালু নেই