একাদশে ভর্তি : কী হবে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের?

এবার একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা রকমের জটিলতা। অনলাইন ও এসএমএসে ভর্তি কার্যক্রম, আবেদনের আগেই ফরম পূরণ হয়ে যাওয়াসহ আরো অনেক সমস্যার কথা উঠে এসেছে গণমাধ্যেমে। তবে এগুলোর বাইরে এবার আলোচনায় উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি) থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের ভর্তি জটিলতা। বাউবি শিক্ষার্থীরা এবার নতুন এ ভর্তি প্রক্রিয়াতে আবেদনই করতে পারেন নি। তাহলে তারা কি এবার একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবেন না?

কর্তৃপক্ষ বলছে, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা না করে তড়িঘড়ি ভর্তি কার্যক্রম করতে গিয়ে এ সংকটে পড়তে হয়েছে।

বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড অনলাইন ও এসএমএসে ভর্তি প্রতারণার দায়ে একাধিক প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছে। বাউবি থেকে পাস করা রোল নম্বরের ডিজিট সংখ্যা বেশি হওয়ায় সাধারণ কলেজে ভর্তি হতে গিয়ে চরম ভোগান্তি ও হয়রানির মুখে পড়ে তারা। সাধারণ স্কুলের শিক্ষার্থীদের রোল নম্বর ৬ ডিজিট, কিন্তু উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের রোল নম্বর ১১ ডিজিটের।

আবার বোর্ডের সার্ভার সংক্রান্ত জটিলতার কারণে সারাদেশের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী অনলাইন ও এসএমএসে ভর্তির আবেদনও করতে পারেনি। ঢাকা বোর্ডের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা না করে তড়িঘড়ি করে অনলাইন ও এসএমএসে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করা মোটেও উচিত্ হয়নি, যার খেসারত দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

ওয়েবসাইটে বলা হয়, এবার এসএসসি উত্তীর্ণ সারাদেশের প্রায় পৌনে ১৩ লাখ শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ভর্তির আবেদন করেছেন। কিন্তু রোল নম্বর জটিলতার কারণে এবার বাউবি থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীরা আবেদনই করতে পারেন নি।

ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী, গেলো ৬ জুন একাদশ শ্রেণীতে অনলাইন ও এসএমএসে ভর্তির আবেদন শুরু হয়। পূর্বঘোষিত সূচি অনুযায়ী যার শেষ সময় ছিল ১৮ জুন। তবে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি ও একাধিক কলেজ কর্তৃপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আবেদনের শেষ সময় ১৮ জুন থেকে বাড়িয়ে ২১ জুন করা হয়। কোন শিক্ষার্থী আবেদন বাতিল করে পুনরায় আবেদন প্রেরণ করলে সেক্ষত্রে শেষ সময় ছিল ১৫ জুন।

১ জুলাই একাদশ শ্রেণীতে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা। ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ১১ লাখ ৫৬ হাজার শিক্ষার্থী আবেদন করে। এর মধ্যে শুধু ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কলেজগুলোতে ভর্তির জন্য আবেদন করেছে ৩ লাখ ৬৯ হাজার জন।

নীতিমালা অনুযায়ী, এবার একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ পাঁচটি কলেজে ভর্তির আবেদন করতে পারবে।

এদিকে, তৃতীয়বারের মতো পেছনো সময় অনুযায়ী শনিবার সকাল ৮টায় ফলাফল প্রকাশিত হবার কথা থাকলেও শিক্ষা বোর্ডের ওয়েব সাইটে কোনো ফলাফল প্রকাশিত হয়নি। শিক্ষামন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে (www.xiclassadmission.gov.bd) এখন বলা হচ্ছে, ‘২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টদের জানানো যাচ্ছে যে, ভর্তির ফলাফল প্রক্রিয়াকরনের কাজ চলছে, ফলাফল প্রকাশের সময় শীঘ্রই জানিয়ে দেয়া হবে।’



মন্তব্য চালু নেই