খালেদার কণ্ঠে পাকিস্তানের প্রতিধ্বনি

একদিন হয়তো বলবেন ‘বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধই হয়নি’

মুক্তিযুদ্ধের সংখ্যা নিয়ে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যে তীব্র বিরোধিতা করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, ‘পাকিস্তান যেটা উচ্চারণ করে আসছে, খালেদা জিয়ার এই বক্তব্যে এরই প্রতিধ্বনিত হয়েছে।’

বুধবার দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে আওয়ামী লীগের নেতা প্রয়াত আব্দুর রাজ্জাকের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু একাডেমী আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সুরঞ্জিত বলেন, ‘বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া আবারও একটি বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে নিজের পরিচয় তুলে ধরেছেন। একটি ঐতিহাসিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি ও মীমাংসিত বিষয় নিয়ে হঠাৎ করে তিনি (খালেদা জিয়া) সংখ্যাতত্ত্বের বিশেষজ্ঞ হয়ে গেছেন। এটা দুরভিসন্ধিমূলক। কোথায় গবেষণা করে তিনি এটা পেয়েছেন? পাকিস্তান যেটা উচ্চারণ করে আসছে, তার এই বক্তব্যে তাই প্রতিধ্বনিত হয়েছে।’

খালেদা জিয়া এই বক্তব্যের সমর্থনে কোনো যুক্তি দিতে না পারলে জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে বক্তব্য তুলে নেয়ার আহ্বান জানান প্রবীন এ নেতা।

খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময়- আপনি তো জানজুয়াদের সাথে ছিলেন। রিফিউজি ক্যাম্পে কত লোক মারা গেছে, এর খবর আপনি কোথায় পাবেন? আপনি মুক্তিযুদ্ধে হাত দিতে যায়েন না। আপনি তো রাজাকারদের মহারানী। তাদের সংখ্যার কথা বলুন। মুক্তিযুদ্ধের সংখ্যা নিয়ে আপনি যা বলেছেন- তা কোন কল্পনা থেকে নয়, একটি নতুন পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্যে সুচিন্তিত ও পূর্বপরিকল্পিতভাবে এ বক্তব্য দিয়েছেন।’

মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্বীকৃত সংখ্যা নিয়ে আইন করার দাবি জানিয়ে সুরঞ্জিত বলেন, ‘সরকারের উচিৎ স্বাধীনতার পর থেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নিয়ে যে সংখ্যাটি স্বীকৃত, এ নিয়ে একটি আইন করা। আর এ আইন ইতিহাসের গবেষণা নয়, নিজেদের প্রয়োজনে করতে হবে। তাহলে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আর বিভ্রান্তি ছড়ানোর সুযোগ থাকবে না। তা না হলে বেগম খালেদা জিয়া কবে বলে ফেলবেন- বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধই হয়নি।’

পৌর নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে দাবি করে খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের এ প্রবীণ নেতা বলেন, ‘এখনো তো পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাব নামার প্রয়োজন পড়ে নাই। তাহলে আর্মি নামাতে হবে কেন? নির্বাচনে ছোট-খাটো কিছু ঘটনা ঘটবেই।’

ডাক্তার এনামুল হক সেলিমের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সালাহ উদ্দিন বাদল প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই