একই দেহে দুই বোন – শরীর একটা, মাথা দুইটা ( ভিডিও )

এবিগ্যাল এবং ব্রিটনি হেন্সেল (Abigail and Brittany Hensel) এর জন্ম হয় ৭ই মার্চ ১৯৯০ সালে। এদের জন্ম হয় মিনেসোটা নামক শহরে যা জার্মানিতে অবস্থিত। পিতার নাম মাইক হেন্সেল আর মার নাম প্যাটি। এদের ছোট এক ভাই এবং বোন আছে যাদের নাম ডাকোটা এবং মরগান। এরা বর্তমানে জার্মানির “লুথেরান উচ্চ বিদ্যালয়” এ পড়াশুনা করছে।

এরা dicephalic parapagus twins মানে তারা জোরা লাগানো দু’বোন। যাদের দুটা আলাদা মাথা আছে কিন্তু শরীর এক। যদিও এরা এক শরীরের কিন্তু এদের হার্ট, ফুসফুস, মেরুদন্ড সব আলাদা, কিন্তু এক শরীর। এরা এদের ভাগের হাত পা নিয়ন্ত্রন করতে পারে। এমন কি বাম পাশের জন ডান পাশের জনের স্পর্শ অনুভব কতে পারে না। তারপও তারা একজন আরেক জনের সাথে এমন ভাবে তাল মিলিয়ে চলেন যে এদের হাঁটতে, হামাগুড়ি দিতে বা তালি মারতে কোন সমস্যা হয় না। এমন কি এরা আলাদা খাবার খায় এবং যে কোন কাজ নিজেরা আলাদা ভাবে করতে পারে। এমন কি এদের পছন্দের খাবার পর্যন্ত আলাদা আলাদা। যেহেতু এরা দু’জন শরীরের শরীরের আধা আধা নিয়ন্ত্রন করতে পারে তাই দৌড়ানো, সাঁতার কাঁটা এগুলো করতে একে অপরকে সহায়তা করতে হয়। এমন কি এরা গাড়ি চালানোর লাইসেন্স পর্যন্ত পেয়েছে। এজন্য দু’জনকে এক সাথে কাজ করতে হয়, কারন আগেই বলেছি একজন মাত্র এক পাশের হাত এবং পা নিয়ন্ত্রন করতে পারে।

জন্ম থেকে এদের দুটি মাথা বাদে সব কিছু এক, যেন দুজনকে অর্ধেক করে আবার জোড়া লাগানো হয়েছে, যদিও এবিগ্যাল এর মাথা ব্রিটনির থেকে ৫ ডিগ্রি বেকানো তার মাথা আর ব্রিটনির মাথা ১৫ ডিগ্রি বাইরের দিকে। এদের এক শরীর হলেও ব্রিটনিকে একটু ছোট মনে হয়।

তাদের বয়স যখন ১২ বৎসর তখন তাদের বুক মানে বুকের খাঁচা বড় করার জন্য Gillette Children’s Specialty Healthcare হাসপাতালে তাদের প্রথম অপারেশন হয়, যাতে বুকের ভিতর ফুসফুস বুকের খাঁচার চাপে চেপে না যায় কেননা এমনটি হলে তারা শ্বাস কষ্টে মারা যেতে পারে।

ভিডিওতে দেখে নিন তাদের দৈনন্দিন কাজ কর্ম

https://www.youtube.com/watch?v=KXE3i1rsmwQ



মন্তব্য চালু নেই