এই ১০টি কৌশলে সহজেই কমিয়ে ফেলুন মুখের মেদ

শরীরে মেদ জমার যে নানাবিধ সমস্যা রয়েছে, তা তো জানা কথা। নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় সেই মেদ কমিয়েও ফেলা যায়। কিন্তু অনেক সময়ে দেখা যায়, শরীরের চর্বি হ্রাস পেলেও, কিংবা শরীরে চর্বি না জমলেও মুখটা চর্বির কারণে ফুলে থাকে। কারোর কারোর এমনিই চর্বি জমে মুখমণ্ডলে। বিশ্রী দেখায় এর ফলে। শরীরের চর্বির দিকে নজর না দিয়েও বিশেষ কয়েকটি কৌশলে কিন্তু কমিয়ে ফেলা যায় মুখের চর্বি। এখানে রইল এমন ১০টি কৌশলের হদিশ, যেগুলি অবলম্বন করলে আপনার মুখের ফোলাভাব অনেক কমবে—

১. ফেস যোগা: গাল ফুলিয়ে মুখে হাওয়া ভরুন। হাওয়া একগাল থেকে অন্য গালে এমনভাবে ঠেলে দিন যাতে গালটা ফুলে উঠে। তারপর আবার আগের গালে নিয়ে আসুন হাওয়া। শেষে শিস দেওয়ার ভঙ্গিতে বার করে দিন হাওয়াটা। রোজ মিনিট পাঁচেক করুন এই ব্যায়াম। আরও নানা ধরনের ফেস যোগা রয়েছে। চাইলে সেগুলোও ট্রাই করতে পারেন।

২. জল: প্রচুর পরিমাণে জল খান। এতে শুধু মুখের নয়, শরীরের যে কোনও অংশেরই চর্বি কমবে। ডিহাইড্রেশনের ভয়ও থাকবে না এতে।

৩. ঠিকঠাক খাওয়া-দাওয়া: তাজা ফল, ফাইবার সমৃদ্ধ শাকসবজি, এবং ক্যালসিয়াম-যুক্ত খাবার বেশি করে খান। ফ্যাট ও প্রোটিন খাবারের পরিমাণ কম করুন। পাশাপাশি বেশি বার, কিন্তু অল্প পরিমাণে খান।

৪. জাঙ্ক ফুড: রাস্তার ধারের এগরোল, চাউমিন কিংবা মোগলাই খেতে যতই সুস্বাদু হোক না কেন, মুখের চর্বি কমাতে গেলে এগুলো খাওয়ার লোভ সংবরণ করতে হবে। অতিরিক্ত নুন ও চিনি যুক্ত খাবারও ত্যাগ করতে হবে।

৫. স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস: স্ন্যাকস বলতে শুধু চিপস, কুড়কুড়ে কিংবা পপকর্ন বোঝায় না। বিভিন্ন ধরনের ফল কেটে চাট মশলা ছড়িয়ে খান। দেখবেন স্বাস্থ্যকর কিন্তু সুস্বাদু স্ন্যাকস তৈরি।

৬. পর্যাপ্ত ঘুম: দিনে আট ঘণ্টা অবশ্যই ঘুমোন। ঘুম না হলে মুখের চামড়া ঝুলে যায়, ফলে মুখটা আরও ফোলা লাগে।

৭. চিউইং গাম: চিউইং গাম চিবনোর অভ্যেস আদপে মুখের ভালো এক্সারসাইজ। চিউইং গাম চিবোলে মুখের চর্বি কমে।

৮. ফেস ম্যাসাজ: পেশাদার ম্যাসিওরের হাতে নিয়মিত ফেস ম্যাসাজ নিলে মুখে রক্তসঞ্চালন ভালো হয়, এবং মুখের চামড়া টানটান হয়।

৯. মদ এবং সিগারেট: মদ্যপান এবং ধূমপান শরীরের বহুবিধ ক্ষতি করে। সেই সমস্ত ক্ষতির মধ্যে একটি হল, মুখের চামড়ার বাঁধন আলগা করে দেওয়া। এর ফলে মুখের চামড়া আলগা হয়ে মুখটা ফোলা লাগে। কাজেই মুখের চর্বি কমাতে গেলে মদ ও সিগারেট থেকে দূরে থাকতে হবে।

১০. হেয়ারস্টাইল: হেয়ারস্টাইলে বদল অবশ্য মুখের মেদ কমায় না। কিন্তু যদি চুলের ঠিকঠাক স্টাইল বেছে নিতে পারেন, তাহলে মুখটা অনেক সরু ও লম্বা লাগবে।



মন্তব্য চালু নেই