এই উপায়ে শুধুমাত্র চিঠি পোস্ট করে বছরে ১৭ লক্ষ টাকা উপার্জন সম্ভব

তাহলে আর দেরি কীসের, যাঁরা এই কাজে আগ্রহী, তাঁরা সত্ত্বর রয়্যাল ওয়েবসাইটটি চেক করুন। চাকরির বিস্তারিত খবর মিলবে সেখানেই।

এই চাকরিতে কাজ বলতে শুধু খামের গায়ে ঠিকানা লেখা, ডাকটিকিট সাঁটা, আর তারপর ডাকবাক্সে সেই চিঠি ফেলে আসা। কিন্তু সেই কাজ করার বিনিময়েই আপনি থাকতে পারবেন রাজপ্রাসাদে, আর মাইনে পাবেন বছরে ১৭ লাখ টাকা।

প্রথমবার শুনে গোটা ব্যাপারটাই আজগুবি বলে মনে হতে পারে। পাশাপাশি এটাও মনে হতে পারে যে, এই ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপ মেইল আর এসএমএস-এর যুগে কে-ই বা লেখে আর চিঠি! আর কেউ লিখুক না লিখুক, ইংল্যান্ডের রানি অন্তত এখনও চিঠি লেখেন। দেশের কোনও মানুষ যখনই তাঁর ১০০তম কিংবা ১০৫তম জন্মদিনে পদার্পণ করেন, তখনই ডাকযোগে তিনি পান মহারানির শুভেচ্ছা। শুধু তাই নয়, কোনও দম্পতির বৈবাহিক জীবন যখন স্পর্শ করে ৬০, ৬৫, ৭০… তম বিবাহ-বার্ষিকী তখনও খাম-ভর্তি শুভেচ্ছাবার্তা পাঠান রানি।

এইভাবে প্রতি বছর রাজপ্রাসাদ থেকে অজস্র চিঠি বিলি করা হয়। জানা গিয়েছে, বর্তমান রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ৬৪ বছরের শাসনপর্বে বাকিংহ্যাম প্যালেস থেকে ১০ লক্ষেরও বেশি শুভেচ্ছাবার্তা ডাকবাক্সে ফেলা হয়েছে। শুধু ২০১৪ সালেই ডাকযোগে ৫০ হাজারের বেশি ব্রিটেনবাসী পেয়েছিলেন রানির শুভেচ্ছাচিঠি।

কিন্তু দিনে দিনে দেশের জনসংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। ফলে বাকিংহ্যাম প্যালেস থেকে পাঠানো শুভেচ্ছাচিঠির সংখ্যাও ক্রমবর্ধমান। এমতাবস্থায় বাকিংহ্যাম প্যালেসের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে একজন অ্যাসিসট্যান্ট অ্যানিভার্সারি অফিসার নিয়োগ করা হবে। তাঁর কাজ হবে, রানির শুভেচ্ছাবার্তাগুলি ঠিকমতো প্রাপকের কাছে পৌঁছচ্ছে কি না, তা তদারক করা।

কাজটা সামান্য বলে মনে হলেও, আদপে যে তা নয়, তা জানে বাকিংহ্যাম কর্তৃপক্ষও। তা-ই সেই কাজের পারিশ্রমিকও রীতিমতো লোভনীয়। জানানো হয়েছে, যিনি এই পদের জন্য নির্বাচিত হবেন, তিনি বাকিংহ্যাম প্যালেসেই থাকতে পাবেন, এবং মাইনে পাবেন বছরে ২১ হাজার পাউন্ড। টাকার হিসেবে অঙ্কটা ১৭ লক্ষ টাকারও বেশি। তাহলে আর দেরি কীসের, যাঁরা এই কাজে আগ্রহী, তাঁরা সত্ত্বর রয়্যাল ওয়েবসাইটটি চেক করুন। চাকরির বিস্তারিত খবর মিলবে সেখানেই।-এবেলা



মন্তব্য চালু নেই