ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে সন্তান বিক্রি করল মা

অবিশ্বাস্য হলেও ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে সন্তান বিক্রি করার মতো ঘটনাটি ঘটেছে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে। গ্রামীন ব্যাংক, আশা, ব্রাক, প্রিজনসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে স্বর্বশান্ত কয়েকশ পরিবার।

ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে বিক্রি করে দিচ্ছে সন্তান, ঘরভিটা। মা-বাবা বাধ্য হচ্ছে যুবতী মেয়েদের অসামাজিক কাজে লিপ্ত করে কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে।

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের নিশি কলোনী নদী ভাঙ্গনের শিকার ভূমিহীন গরীব অসহায় মানুষগুলো আর্থিক সচ্ছলতা আনতে প্রতিটি পরিবার ঋণ নেয় গ্রামীন ব্যাংক, আশা, ব্রাক, প্রিজনসহ বিভিন্ন ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠান থেকে।

কিন্তু সচ্ছলতার পরিবর্তে দিন দিন স্বর্বশান্ত হয়ে পড়ছে মানুষগুলো। ঋণের টাকা পরিশোধ করতে গর্ভাবস্থায় বিক্রি করে দিচ্ছে সন্তান, ঘরভিটা, হাঁস-মুরগীসহ ঘরের আসবাব পত্র। মা-বাবা বাধ্য হচ্ছেন ঘরের যুবতী মেয়েকে অসামাজিক কাজে লিপ্ত করে কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে।

 

Maads

নিশি কলোনীর ৩ মহিলা জেসমিন, রুবিনা ও বানু ৫ হাজার টাকায় গর্ভাবস্থায় বিক্রি করে দেন তাদের শিশুকে। এছাড়াও বিবিয়া নামের আরেক মহিলা তার দুই সন্তান বিক্রি করে এখন পাগল প্রায়। ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে ঘর ভিটা বিক্রি করে পরিবার নিয়ে পথে পথে ঘুরছেন কবির, মহিউদ্দীনসহ অসংখ্য পরিবার।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, ভূমিহীন পরিবার গুলো ঋণ নিয়ে উন্নতি করেছে এমনটা তারা দেখেননি।

অপরদিকে ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে এলাকায় অনেক মা-বাবা তাদের মেয়েকে অসামাজিক কাজে লিপ্ত করায় এলাকাবাসী উদ্বিগ্ন। ঋণের কিস্তির টাকা সংগ্রহ করতে আসা এক মাঠকর্মী এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ঋণ নিয়ে মানুষ ভাগ্য পরিবর্তন করছে, তাদের স্বালম্বী করার প্রত্যয়ে আমরা সহজ শর্তে ঋণ দিয়ে থাকি।



মন্তব্য চালু নেই