উড়োজাহাজে ধুমপান নিষিদ্ধ, তবুও অ্যাস্ট্রে কেন থাকে? বেরিয়ে এলো গোপন রহস্য!

অনেক আগে থেকেই উড়োজাহাজে ধূমপান করা নিষেধ। ধূমপান করতে আগুনের প্রয়োজন হয়, আর সেই আগুনের থেকেই শুরু হয় ভয়াবহতা। তবে যারা প্লেনে যাতায়াত করেন তাদের মাঝে প্রশ্ন থাকতে পারে, প্লেনে কেন অ্যাস্ট্রে রাখা হয়।

এর পেছনে একটি কারণই হতে পারে যে, তারা আপনাকে বিশ্বাস করেন না। অর্থাৎ উড়োজাহাজ কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের উপর বিশ্বাস করেন না। কারণ, দীর্ঘসময়ের ফ্লাইটে কারও ধূমপানের ইচ্ছা হলে সে টয়লেট এর ব্যবহার করতে পারেন। টয়লেটে সিগারেটের অবশিষ্ট অংশ ফেলে দিলে আগুন ধরার সম্ভাবনা রয়েছে।

২০০৯ সালে মেক্সিকোর একটি বিমান উড়ানোর পরপরই আবার অবতরণ করানোর প্রয়োজন হয়। তখন তদন্ত করে দেখা যায় বিমানে কোন অ্যাস্ট্রে ছিল না। আবার ধূমপানের জন্য যখন আগুন ধরানো হয় তখন বিমানে এলার্ম বেজে উঠে। তখন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবার প্রয়োজন হয়। শুধু পরিবেশ সুরক্ষিত করার জন্য নয়, বিপদের হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য ধূমপান করতে নিষিদ্ধ করা হয়।

১৯৭৩ সালে বোর্ডে আগুন লাগার কারণে একটি প্লেন ক্রাশের ঘটনা ঘটে। সেদিন ১২৩ জনের মৃত্যু হয়। আগুনের উৎপত্তি ধূমপানের কারণে হয়েছিল বলে সন্দেহ করা হয়।

তাই সাবধানতার কারণে সবসময় প্লেনে অ্যাস্ট্রে রাখা হয়। যেন টয়লেটে যেয়ে ধূমপায়ী ব্যক্তি ধূমপান করে আসতে পারেন এবং তাতে যেন কারও সমস্যা না হয়।–সূত্র: মেট্রো।



মন্তব্য চালু নেই