“উলামা ও ইসলামী শিক্ষাবিদদের মতামতের ভিত্তিতে শিক্ষা আইন করতে হবে”

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর ও পীর সাহেব চরমোনাই মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, উলামা ও ইসলামী শিক্ষাবিদদের মতামতের ভিত্তিতে শিক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে।

তিনি বলেন, ধর্মদ্রোহীদের শাস্তির আইন না থাকায় দিন দিন ইসলামবিদ্বেষী ব্লগার বাড়ছে। এখন প্রতিনিয়ত হিন্দু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন কর্তৃক রাসূল সা.এর অবমাননা হচ্ছে। বিভিন্ন স্কুলের হিন্দু শিক্ষক কর্তৃক আশঙ্কাজনক হারে ইসলামবিদ্বেষী বাড়ছে। তিনি বলেন, এদের লাগাম টেনে ধরুন, নয়তো দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষা আইনের নামে এদেশের প্রচলিত কওমী ধারার মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের চক্রান্ত করছে। প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অননুমোদিত পাঠ্যপুস্তক পাঠ দানের শাস্তির বিধানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই আইনের মাধ্যমে দেশের প্রচলিত ইসলামী শিক্ষাকে কোনঠাসা করে ফেলার গভীর চক্রান্ত।

এই আইনের ফলে শিক্ষার্থীরা নৈতিকতা হারিয়ে অনৈতিকতার দিকে ধাবিত হবে। ফলে অশান্তির বিষপাম্প ছড়িয়ে পড়বে সর্বত্র। পীর সাহেব চরমোনাই আরও বলেন, এদেশে কার্যকর শিক্ষার পরিবেশ তৈরীর লক্ষ্যে এদেশের বিরানব্বই ভাগ মানুষের কৃষ্টিকালচারের প্রতিনিধি ওলামা মাশায়েখ ও শিক্ষাবিদদের সাথে পরামর্শপূর্বক শিক্ষা আইন প্রণয়ের পরামর্শ গ্রহণ করে আইন প্রণয়নের দাবি জানান।

অন্যথায় এদেশের লাখ লাখ মাদরাসা ছাত্র-শিক্ষকগণ মাঠে নেমে আসলে সরকারের জন্য কল্যাণকর হবে না।
তিনি আরও বলেন, উলামা ও ইসলামী শিক্ষাবিদদের মতামতের ভিত্তিতে শিক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে।



মন্তব্য চালু নেই