উপকূলীয় এলাকায় আরো আশ্রয়কেন্দ্র হবে

ঘূর্ণিঝড় ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় উপকূলীয় এলাকায় আরো আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। আগামি মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ বিষয়ে কয়েকটি সিদ্ধান্ত  হতে পারে। গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এ তথ্য জানান।

মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ২৯  এপ্রিল স্মৃতি ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘৯১ এর ২৯ শে এপ্রিল ঘূর্ণিঝড়ে নিহতদের স্মরণে সভা ও সেমিনারে’ প্রধান অতিথির বক্তব্য দিচ্ছিলেন তিনি।

ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ঘূর্ণিঝড় ও দুর্যোগ মোকাবিলায় উপকূলীয় এলাকাগুলিতে অনেক  আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তবে এলাকা ও জনসংখ্যার অনুপাতে এগুলো যথেষ্ট নয়। তিনি জানান দুর্যোগ মোকাবিলায় আরো অনেকগুলো আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হবে।  আমিও আপানাদের মত উপকূলীয় এলাকার মানুষ।

মন্ত্রী আরো বলেন, ৯১ সালে ঘূর্ণিঝড়ের ৫ দিন পর খালেদা জিয়া কক্সবাজার গিয়েছিলেন। পরিদর্শনে গিয়ে বিদ্যুৎ না থাকায় তিনি টিকতে পারছিলেন না। পরে আমার হোটেলে গিয়ে এসির মধ্যে তিনি বিশ্রাম নেন । কারণ আমার হোটেলে তখন জেনারেটর ছিল।

পরে কক্সবাজার থেকে ফিরে এসে বলেছিলেন, যতলোক মারা যাওয়ার কথা ছিল তত লোক মারা যায়নি। এখন প্রশ্ন হল ৩ লক্ষ লোক মারা যাওয়ার পরও যদি লোক মারা না যায় তবে আর কত লোক মরলে তার কাছে সংখ্যাটি মনপূত হতো- প্রশ্ন করেন তিনি।

সংগঠনের সভাপতি ইয়াহিয়া খানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মোহাম্মদ হোসেন, অধ্যাপক ড. আক্তারুজ্জামান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব হারুন উজ্জামান ভূইয়া প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই