‘উদ্বৃত্ত খাদ্য রপ্তানির বাজার খোঁজা হচ্ছে’

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার খাদ্য নিরাপত্তা ও স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। বর্তমানে দেশের খাদ্যের চাহিদা মিটিয়ে বহির্বিশ্বে উদ্বৃত্ত খাদ্য রপ্তানির বাজার খোঁজা হচ্ছে।

বুধবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (আরডিএ) বগুড়া এবং লিমরা ট্রেড ফেয়ারস অ্যান্ড এক্সিবিশনস লিমিটেড এর যৌথ উদ্যোগে ৩ দিনব্যাপী আয়োজিত ৭ম আন্তর্জাতিক কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০১৭-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, খাদ্যশস্যের পাশাপাশি বিভিন্ন অর্থকরী ফসল উৎপাদন ও গবেষণায় বাংলাদেশ বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ইতিমধ্যে পাটের জীবন রহস্য উদ্ঘাটন করা হয়েছে, অন্যান্য ফসলেরও জীবন রহস্য উদ্ঘাটনের গবেষণা চলমান রয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্ব প্রযুক্তিনির্ভর। কৃষিক্ষেত্রেও প্রযুক্তিগত বিপ্লব ঘটেছে। বর্তমান সরকার বাংলাদেশেও কৃষিতে প্রাচীন চাষাবাদ ব্যবস্থার বদলে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করেছে।

মন্ত্রী বলেন, কৃষিকে মূল খাত হিসেবে চিহ্নিতকরণের পাশাপাশি কৃষকের বিশেষত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের কাছে কৃষি উপকরণের সহজলভ্য করার লক্ষ্যে বেশকিছু মৌলিক কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, কৃষককে স্বাবলম্বী করা এবং তাদের দারিদ্র্য কমিয়ে আনার লক্ষ্যে কৃষি খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। মেলায় প্রদর্শিত কৃষি যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি কৃষক সমাজকে কৃষি যান্ত্রিকীকরণে উৎসাহ প্রদান করবে, যা লাভজনক ও টেকসই কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে। এ ছাড়া দেশের প্রাচীন চাষাবাদ ব্যবস্থায় কায়িক শ্রমের বদলে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবস্থা চালু ও কৃষিতে গতিশীলতা আসবে।

মেলায় দেশীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, ভারত, চীন, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও কানাডাসহ ১৯টি দেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের কৃষি প্রযুক্তি নির্ভর যন্ত্রপাতি, খাদ্য ও কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ যন্ত্রপাতি, জ্বালানি শক্তি, উদ্যান ফসলের উন্নয়ন প্রযুক্তি, গবাদি পশু-পাখির খাদ্য ও পুষ্টি উৎপাদন প্রযুক্তির ৩৬৫টি স্টল রয়েছে। মন্ত্রী এসব স্টল ঘুরে দেখেন।

পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব ড. প্রশান্ত কুমার রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নান ও মো. হাবিবর রহমান, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সরদার আবুল কালাম, আরডিএ মহাপরিচালক প্রকৌশলী এম এ মতিন, প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম খান, কাজী সারোয়ার উদ্দিন প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই