উটপ্রীতির কারণে স্ত্রীকে তালাক

উটের প্রতি অতিরিক্ত ভালোবাসা প্রকাশের কারণে স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন এক সৌদি স্বামী। স্থানীয় এক সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে গালফ নিউজ।

সম্প্রতি স্ত্রীকে নিয়ে রাজধানী রিয়াদের পশ্চিম অংশে অবস্থিত শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন ওইস্বামী। সেখানে শ্বশুরের পালিত এক উটের প্রতি স্ত্রীর অতিরিক্ত আকর্ষণ দেখে বিরক্ত হন তিনি। আবেগে আপ্লুত স্ত্রী এক পর্যায়ে তার স্বামীকে বলেন, ‘আমি তোমাকে অবশ্যই ভালোবাসি। তবে আল ওয়ালেফের চেয়ে বেশি নয়।’ বলা বাহুল্য আল ওয়ালেফ হচ্ছে তাদের পালিত উটের নাম।

স্ত্রীর মুখে এ কথা শুনে মর্মাহত হন স্বামী। এছাড়া দুই শ্যালকের সামনে স্ত্রীর এই মন্তব্যে তিনি বেশ অপমানিত বোধ করেন। তবে এ নিয়ে স্ত্রীকে কথা শোনানোর বদলে নীরব থাকেন তিনি।

এদিকে স্বামীর সঙ্গে ফেরার পথেও স্ত্রীর মুখে কেবল উটেরই গুণগান। তিনি বলতে থাকেন, তার বাবা অনেক বেশি দাম ওঠার পরও আল ওয়ালেফকে বিক্রি করেননি। নীরবে স্ত্রীর এসব প্রশংসাবাণী শুনতে থাকেন স্বামী।

বাড়ি ফেরার পর শুক্রবার সন্ধ্যায় বৌকে নিয়ে মরুভূমিতে বেড়াতে যান ওই ব্যক্তি। তার শ্বশুর যেখানে উট চরান সেখানেই স্ত্রীকে নিয়ে যান তিনি। এরপর তিনি উটের পাল থেকে স্ত্রীকে তার প্রিয় আল ওয়ালেফকে খুঁজে বের করতে বলেন। দৌঁড়ে গিয়ে উটটি খুঁজে বের করে ওর গলা জড়িয়ে ধরে আদর করতে থাকেন ওই নারী। তখনই স্ত্রীকে তালাক দেয়ার কথা ঘোষণা করেন ওই স্বামী।

এ সময় তিনি বলেন,‘তুমি একজন পশু। তাই তোমার কোনো মানুষ নয়, পশুকেই ভালোবাসা উচিত। এই চারণক্ষেত্রই হচ্ছে তোমার উপযুক্ত স্থান। কেননা এখানে থাকলেই তুমি তোমার প্রিয় আলেফের সান্নিধ্যে থাকতে পারবে।’

ঘটনাটি সৌদি অনলাইনে প্রকাশিত হওয়ার পর এরকম এক তুচ্ছ ঘটনায় স্ত্রীকে তালাক দেয়ায় অনেকেই স্বামীকে দুষেছেন। কেউ কেউ অবশ্য এরকম ‘অবাধ্য’ স্ত্রীকে উচিত শিক্ষা দেয়ায় স্বামীর পিঠ চাপড়েছেন। তবে এ ঘটনায় বিরক্ত প্রকাশ করেছেন অনেক ফেসবুক ইউজার। তারা বলছেন, স্বামী-স্ত্রীর দুজনেরই পরস্পরকে শ্রদ্ধা করা উচিত।



মন্তব্য চালু নেই