উজ্জ্বল সংসার করছে, তাহলে দাফন হলো কার লাশ?

একটি প্রশ্নের জবাব আজও মেলেনি। জীবিত উজ্জ্বলকে লুকিয়ে রেখে কবর দিয়েছিল কার লাশ?

২০১৩ সালের ৪ অক্টোবর মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের আকবরনগর গ্রামের মো. গোলাফ হোসেনের ছেলে মো. উজ্জ্বলকে হত্যা করা হয়েছে বলে তার লাশ কবর দেওয়া হয় পারিবারিক কবরস্থানে। কিন্তু তার দাফন সম্পন্ন হওয়ার পর উজ্জ্বল স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সুখেই দিন কাটাচ্ছেন।

এলাকাবাসী জানান, অজ্ঞাতপরিচয় একটি লাশ কবর দেওয়ার পর শুরু হয় নিরীহ মানুষের নামে মিথ্যা গুম ও হত্যা মামলা এবং পুলিশের নির্যাতন। শুধু তাই নয় এলাকার প্রভাবশালী ছমেদ আলী এই ঘটনার সঙ্গে জড়ান। তারপর হত্যা মামলার ১ নম্বর আসামি আবুল হাসেমের (৩০) পরিবারের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।

এলাকার সাধারণ মানুষও ছাড় পায়নি এই হয়রানির থাবা থেকে। ছমেদ আলীর লোকদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললে বাড়িঘর ভাঙচুর করে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়। এখনো অনেক মানুষ গ্রামছাড়া।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই বাহিনী চাঁদাবাজি করে কালো টাকার পাহাড় বানিয়েছে। তাই সবকিছু ম্যানেজ করে চালিয়ে যায় তার বিভিন্ন অপকর্ম।

এলাকার মানুষের প্রশ্ন, উজ্জ্বল নামের যাকে কবর দেয়া হয়েছিল সে কে? তৎকালীন বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হলেও আজ পর্যন্ত সন্ধান মেলেনি দাফন হওয়া কথিত উজ্জ্বলের পরিচয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ফতুল্লা ও সিরাজদিখান থানার কর্মকর্তাদের প্রতি দাবি জানান এলাকাবাসী।

এই বিষয়ে বালুচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, আরও নানা অভিযোগ রয়েছে ছামেদ আলীর বিরুদ্ধে।



মন্তব্য চালু নেই