উজাড় হচ্ছে গাছ ধ্বংস হচ্ছে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান

সৌরভ আদিত্য, শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি : নানা জাতের উদ্ভিদ আর জীববৈচিত্রে ভরপুর মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া রেইনফরেস্ট বন। এ বন থেকে প্রতিনিয়ত পাচার হচ্ছে কোটি কোটি টাকার মূল্যবান গাছ। উজাড় হচ্ছে বন, ধংস হচ্ছে প্রকৃতি ও পরিবেশ, হুমকীর মুখে পড়ছে বন্য প্রানী। লোকবল আর প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাবে অসহায় কর্তৃপক্ষ।

মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া,বাঘমারা আর জানকিছাড়ার ১২৫০হেক্টর সংরক্ষিত বন নিয়ে ১৯৯৬ সালে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান ঘোষনা করা হয়। দেশের ১৬টি উদ্যানের মধ্যে অন্যতম এই লাউয়াছড়া উদ্যান। এই বনে সেগুন, চাপালিশ, কড়ই, রক্তন, জারুল, অর্জন,আওয়াল, বাঁশ-বেত সহ ১৬৭ প্রজাতির উদ্ভিদ আর নানান বন্যপ্রানী রয়েছে।

এছাড়া ক্লোরর্ফম প্রজাতির অষ্ট্রেলিয়ান কিংকট বাংলাদেশের মধ্যে একমাত্র এই উদ্যানে রয়েছে। বাহিরে থেকে এই ঘন বনের সূন্দর্য্য মন কাড়ে দর্শনাথীদের। কিন্তু বনের ভীতরে গেলে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। দাঁড়ানো মূল্যবান গাছের ফাঁকে ফাঁকে মোথা পড়ে আছে কয়েক শত। প্রতিদিন দিন-দুপুরে জ্বালানী হিসেবে গাছ কেটে কাঠ নিয়ে যাচ্ছেন অনেকে। প্রতিদিন রাতের আধাঁরে গাছ উদাও হচ্ছে বন থেকে। ধ্বংস হচ্ছে প্রাকৃতিক এই ঘন বন। গাছ চুরি বন্ধে পরিবেশবাদী সংগঠনসহ সচেতন মহল সোচ্ছার থাকলেও টনক নড়ছেনা কর্তৃপক্ষের।

আর লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের সহ ব্যবস্থাপনা কমিটির দায়িত্বে যারা আছে তাদের বনের প্রতি মায়া নেই। বহিরাগতদের নিয়ে এই কমিঠি গঠন করায় এমন অবস্থা বিরাজ করছে বলে মনে করছেন বন্যপ্রাণী সংরক্ষনবিদ। ব্যবস্থাপনা কতৃপক্ষ জানান গহীন এই বন রক্ষায় স্থানীয় মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি সহ বনের উপর নির্ভরশীলদের কর্মসংস্থান প্রয়োজন। তবে মানুষ আগের চেয়ে অনেক সচেতন হয়েছে। পুরোপুরি গাছ চুরি বন্ধে আরেকটু সময় লাগবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে ১৫ জনের বিপরীতে মাত্র ৬জন লোকবল রয়েছে এই বিট অফিসে। পর্যাপ্ত যানবাহন, আগ্নেঅস্ত্র আর প্রয়োজনীয় লোকবল না থাকায় এই বিশাল বন সঠিকভাবে পাহাড়া দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। স্বীকার করলেন বিট কর্মকর্তা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান রক্ষায় গাছ চুরি বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবী সচেতন মহলের।



মন্তব্য চালু নেই