উগান্ডায় ঘটেছিল একই ঘটনা!

আশির দশকে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক থেকে উগান্ডার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অর্থ চুরি হয়। উগান্ডার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তার জড়িত থাকার অভিযোগ উঠে। ওই কর্মকর্তারা ব্যাংকের প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগব্যবস্থা ‘টেলিপ্রিন্টার’ ব্যবহার করেছিলেন।

আজ বুধবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘটনার পূর্বসূরি হচ্ছে উগান্ডার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অর্থ চুরির ঘটনা। ফেডারেল রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ চুরি হয়ে শ্রীলঙ্কা ও ফিলিপাইনে ব্যাংকিং খাতে প্রবেশ করেছে। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়েই এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক থেকে গত ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদ্যুতিক বার্তা প্রেরণ ব্যবস্থা ‘সুইফট’ ব্যবহার করেছে দুর্বৃত্তরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আশির দশকে ব্যাংক অব উগান্ডার দুষ্কৃতকারী কর্মীরা ব্যাংকটির প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগব্যবস্থা টেলিপ্রিন্টার ব্যবহার করে অল্প পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছিল। তখন টেলেক্স যন্ত্রের ফেডারেল রিজার্ভ থেকে অর্থ ব্যক্তিমালিকানাধীন ব্যাংকের হিসাবে হস্তান্তর হয়। ফেডারেল রিজার্ভ থেকে যখন অর্থ ছাড়ের বার্তা দেওয়া হয়, তখন দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা কড়িকাঠি নাড়তে থাকেন। এরপর ফেডারেল রিজার্ভ তার কর্মীদের সতর্ক করে।

উগান্ডার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অর্থ সুইজারল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশে ব্যাংকে চলে যায়। এর মধ্যে সুইস ব্যাংকের কয়েকটি হিসাবেও এ অর্থ জমা হয়। পরে ওই হিসাবধারী ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু অপরাধের সঠিক প্রমাণ মেলেনি। ওই সময় ফেডারেলের অ্যাটর্নি থমাস বক্সারের নেতৃত্বে তদন্ত পরিচালনা করা হয়। এখন বক্সার ফেডারেল রিজার্ভের জেনারেল কনসাল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নিশ্চয়তা বার্তার পেয়ে ফেডারেল রিজার্ভ চারটি দেশের ব্যাংকে অর্থছাড় দিয়েছে। ফেডারেল রিজার্ভ দেশগুলোর সরকারের মাধ্যমে এই অর্থ ফেরত আনার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

ওয়াল স্ট্রিটের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ চুরির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা থেকে বিরত রয়েছে ফেডারেল ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। তারা ঘটনার তদন্তে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছে। ফেডারেল রিজার্ভ থেকে বলা হয়, যারাই কাজটি করেছে তারা ব্যাংকের সুইফট কোড ব্যবহার করেই অর্থছাড়ের আদেশ দিয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই