উখিয়ায় স্কুল গেইটে ভেজাল আইসক্রিম বিক্রি

গরম আসলেই উখিয়ায় ভেজাল আইসক্রিম বিক্রেতারা সক্রিয় হয়ে উঠে। তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে টার্গেট করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গেইটে খোলামেলা এসব আইসক্রিম বিক্রি করতে দেখা গেছে। শিশুরা স্কুল ছুটির পর ওই সব আইসক্রিম ক্রয়ের জন্য হুমডি খেয়ে পড়তে দেখা গেছে। স্থানীয় চিকিৎসকদের দাবী হাটবাজারে খোলামেলা ভাবে বিক্রিত এসব আইসক্রিম খেলে শিশুরা পেটের বিভিন্ন পিড়ায় আক্রান্ত হতে পারে।

উখিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাস্টার হারুন অর রশিদ জানান, স্কুল গেইটে আইসক্রিমসহ খাবার জাতীয় কোন সামগ্রী বিক্রি না করার জন্য বার বার নিষেধ করা সত্ত্বেও কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী আইসক্রিমসহ বিভিন্ন রসালো মিষ্টি জাতীয় খাবার বিক্রি করে যাচ্ছে। যেসব খাবার খেলে শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে উখিয়া উচ্চ বিদ্যালয় গেইটে আইসক্রিম কেনার জন্য শিশুরা ভিড় করলে দেখা যায় নিুমানের ভেজাল আইসক্রিম বিক্রি করা হচ্ছে।

জানতে চাওয়া হলে হলদিয়া চৌধুরী পাড়া গ্রামের ফজল করিম জানায়, ৫/১০ ও ১৫ টাকা দরে আইসক্রিম বিক্রি হচ্ছে। কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকায় তৈরি এসব আইসক্রিমে ভেজাল নাই বলে সে দাবী করে বলেন, তার কাছে আইসক্রিম বিক্রির লাইসেন্স রয়েছে। দেখাতে বললে সে ইউনিয়ন পরিষদের একটি ট্রেড লাইসেন্স দেখিয়ে বলেন, এটা থাকলে কেউ তাকে আটকাতে পারবে না বলে মালিকপক্ষ বলেছে।

এসময় একাধিক ছাত্র আইসক্রিম না কিনে চলে গেলেও পরে আবার তারা ওইসব নিুমানের আইসক্রিম কেনাকাটা করতে দেখা গেছে। এনিয়ে আলাপ করা হলে উখিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হোসাইন সিরাজী বলেন, স্কুল গেইটের সামনে খাবার জাতীয় কোন কিছু বেচাবিক্রি না করার জন্য নিষেধ থাকা সত্ত্বেও তারা তা মানছে না।

উখিয়া স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ফিরোজ খান জানান, খোলামেলা ভাবে বিক্রিত ভেজাল আইসক্রিমসহ যেকোন কিছু খেলে শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তাই এবিষয়ে শিক্ষকদের নজর রাখা উচিত।



মন্তব্য চালু নেই