উখিয়ায় শীর্ষ মানব পাচারকারীরা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রনে

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার উপকূলীয় এলাকার মানব পাচারের সাথে জড়িত শীর্ষ গডফাদাররা এলাকায় প্রকাশ্যেই ঘুরছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, সম্প্রতি উপকূলীয় সাগর পথে মানব পাচারকারী দালালদের খপ্পরে পড়ে অসংখ্য হতদরিদ্র ও নিরহ লোকজন সমুদ্র পথে মালেশিয়া পাড়ি দিয়েছে। এতে দালালদের নির্যাতনে সাগর পথে অনেক নিরহ লোকের সলিল সমাধীর ঘটনা ও ঘটেছে ।

বর্তমানে স্বজন হারানো পবিারের আহাজারিতে এলাকায় এখনো সুখের মাতাম বয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, হলদিয়া পালং ইউনিয়নের নলবনিয়া গ্রামের শীর্ষ গডফাদার ছৈয়দুর রহমানের পুত্র শামশুল আলম প্রকাশ শামশু দালাল, চেপটখালী এলাকার মোস্তাফিজুর রহমান সিকদারের পুত্র অসংখ্য মায়ের বুক খালিকারক ফয়েজ আহমদ প্রকাশ ফয়েইচ্ছা দালাল, জুম্মা পাড়া গ্রামের মোঃ আমিনের পুত্র ছানা উল্লাহ, তার ছোট ভাই আতিক উল্লাহ, মনখালী গ্রামের আবুল কালাম, প্রঃ কালাইম্মা দালাল, ম্যাডাম রেবি, ম্যাডাম রেবির সৎ ভাই রেজু বিজিবির সোর্স নামধারী শাহজালাল, ম্যাডাম রেবির দেবর মুসলিম উদ্দিন, জুম্মা পাড়ার এলাকার বেলাল মেম্বার, বেলাল উদ্দিন, আব্দুস ছালাম, মুনিয়া, দালাল ছানা উল্লাহর একান্ত সচিব নুরুল আলম প্রঃ দালাল নুরু, সোনাইছড়ি গ্রামের মজিবুল হক প্রঃ মুজিব দালাল, কুতুপালং স্বর্ণ পাহাড় এলাকার ইলিয়াছ ও মাহমুদা বেগমের পুত্র মালেশিয়া অবস্থানরত শীর্ষ গডফাদার মোঃ হারুন প্রঃ হারুন্না দালালসহ প্রায় অর্ধশত দালাল বর্তমানে থানা পুলিশের সাথে গভীর সম্পর্ক থাকায় এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরছে বলে জানা যায়।

থানা পুলিশের সাথে দালালদের সম্পর্ক ভাল থাকায় পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছেনা বলে জানান স্বজনহারা পরিবারের লোকজন। এলাকাবাসীরা অভিযোগ করে বলেন, মালেশিয়া দালালদের কালো টাকার কাছে কথিত পুলিশ কর্মকর্তারা ম্যানেজ হওয়ার কারনে আজ শত শত লোকের সলিল সামাধি হওয়ার পর ও উল্টো দালালদের কাছে তাদের পরিবারকে জিম্মি হয়ে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে বলে জানান তারা।

ভুক্তভোগীরা জানান, স্বজন হারানোর পরও বর্তমানে আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন। সচেতন মহলরা অভিযোগ করে বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের তালিকাভুক্ত ও মানব পাচার আইনে ওই গডফাদারদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকা সত্ত্বেও কি ভাবে তারা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াই তা সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে।

এলাকাবাসী ও সচেতন মহলের দাবী অতি শিঘ্রই শীর্ষ মানব পাচারকারী গডফাদারদের গ্রেপ্তার পূর্বক আইনের আওতায় নিয়ে এসে এলাকার শান্তি শৃংখলা ফিরিয়ে আনা ও স্বজন হারানো পরিবার গুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত ও ক্ষতিপূরণ আদায়ের লক্ষে জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কমনা করেছেন এলাকাবাসী ও সচেতন মহলরা।

এ ব্যাপারে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জহিরুল ইসলাম খান বলেন, মানব পাচারকারীরা গ্রেপ্তার হচ্ছে এবং অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।



মন্তব্য চালু নেই