পুলিশ-বিজিবি-বনকর্মীর যৌথ অভিযান

উখিয়ায় করাত কলের বিপুল যন্ত্রাংশ ও চোরাই কাঠ উদ্ধার

সংশোধিত বন আইন ১৯২৭ অনুযায়ী করাতকল উদ্ধার অভিযানে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ-বিজিবি ও বনকর্মী গত সোমবার সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত ৬টি করাতকল ও একটি ইট ভাটায় যৌথ অভিযান চালিয়ে ৮০ ঘনফুট ৭২ টুকরা চোরাইকাঠসহ করাতকলের বিপুল পরিমাণ যন্ত্রাংশ উদ্ধার করেছে।

উদ্ধার অভিযান শেষে বিকেল ৩ টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে কক্সবাজার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন, করাতকল স্থাপন ও পরিচালনার ক্ষেত্রে কতিপয় শর্তাদির মধ্যে সংরক্ষিত ও রক্ষিত বনসীমানা নূন্যতম ১০ কিলোমিটারের মধ্যে করাতকল স্থাপন করা যাবে না।

এছাড়াও বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক স্থলসীমানার ৫ কিলোমিটারের মধ্যে এবং পৌর এলাকা ব্যতিত জনবসতি পূর্ণ যেমন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, উদ্যান, বিনোদন কেন্দ্রগুলোর ২০০ মিটারের ভিতরে করাতকল স্থাপন না করার জন্য বিধি নিষেধ রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিবেচনা করলে দেখা যায় উখিয়ায় প্রতিষ্ঠিত ১৯টি করাতকলের মধ্যে একটিও বৈধ বলে বিবেচ্য নয়।

অভিযানে জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াও উখিয়ার সহকারি বন সংরক্ষক রেজাউল করিম, উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ ইব্রাহিম হোসাইন, উখিয়া থানার উপ-পরিদর্শক গোবিন্দ দাশ, সদর বিট কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক, থাইংখালী বিট কর্মকর্তা আব্দুল মন্নান উপস্থিত ছিলেন।

রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ ইব্রাহিম হোসাইন জানান, রুমখাঁপালং ১টি, কোটবাজার ৩টি, হলদিয়াপালং ১টি ও পাতাবাড়ী ১টি সহ ৬টি অবৈধ করাতকল মালিকের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই