উখিয়া, কক্সবাজারের কিছু খবর

উখিয়ায় আরাফাত রহমান কোকোর গায়েবানা জানাযায় শোর্কাত মানুষের ঢল

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে ২৭ জানুয়ারী (মঙ্গলবার) সকাল ১১ টায় স্বাধীনতার ঘোষক বিএনপির প্রতিষ্টাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ট সন্তান আরাফাত রহমান কোকোর গায়েবানা জানাযা অনুষ্টিত হয়েছে।

উখিয়া মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্টিত গায়েবানা জানাযায় ২০ দলীয় জোটের সর্বস্থরের নেতা কর্মী, সাংবাদিক, শিক্ষক, আইনজীবি সহ বিভিন্ন পেশার শোর্কাত মানুষের ঢল নামে। জানাযাপূর্ব সমাবেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন, উখিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি কাজী রফিক উদ্দিন, সাধারন সম্পাদক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সরওয়ার জাহান চৌধুরী, যুগ্ন সম্পাদক অধ্যাপক তৌহিদুল আলম তৌহিদ, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সোলতান মাহমুদ চৌধুরী।

জানাযায় ইমামতি করেন, উখিয়া উপজেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সেক্রেটারী মাওলানা নুরুল হক। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বক্তারা বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনা ও জিয়া পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

 

মৌজার বাজারমূল্যে বৈষম্যতা
উখিয়ায় জমিজমা লেনদেন নিয়ে বিপাকে ক্রেতা-বিক্রেতা
কক্সবাজারের উখিয়ায় জমি-জমা লেনদেনের ধারাবাহিকতা চিরাচরিত নিয়ম অনুযায়ী চলে আসলেও ইদানিং জমির মৌজা রেইট আশংকাজনক ভাবে বেড়ে যাওয়ার কারণে বিপাকে পড়েছে জমি ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ে। আর এর দায়ভার বহন করতে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে। মৌজার বাজারমূল্যের এ চরম বৈষম্যতার শিকার হয়ে অনেকেই প্রয়োজনের তাগিদেও জমি বিক্রি করতে না পেরে বিয়ের মত সামাজিক অনুষ্ঠানাদি সম্পন্ন করতে পারছেনা অভিযোগ উঠেছে। এমতাবস্থায় ২০১৪ সালে বাস্তবায়িত মৌজার বাজারমূল্য অপরিবর্তিত রাখার দাবী জানিয়ে এলাকাবাসী ভূমি মন্ত্রণালয়সহ প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে আবেদন করেছেন।

সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে বাস্তবায়িত মৌজা রেইট অনুযায়ী এ উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকা রত্নপালং ইউনিয়নে প্রতি শতক নাল জমির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৫,৭৬২ টাকা, যা ২০০৬ সালে একই জমির মূল্য ছিল ২,৯০০ টাকা। গত ৮ বছরের ব্যবধানে শতক প্রতি প্রায় ৬৩ হাজার টাকা বৃদ্ধি পাওয়ায় জমিজমা লেনদেন প্রায় অচল হয়ে পড়ে। একই ভাবে অন্যান্য ৪ ইউনিয়ন রাজাপালং, হলদিয়াপালং, জালিয়াপালং ও পালংখালীতে মৌজা রেইট তুলনামূলক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে জমি বেচাকেনা কার্যক্রম মুখথুবড়ে পড়েছে। যে কারণে জমি রেজিষ্ট্রি খাতে রাজস্ব বৃদ্ধি তুলনামূলক ভাবে কমে গেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

সম্প্রতি উখিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জলবায়ু পরিবর্তন, ভূমি বিপন্নতা এবং ল্যান্ড জোনিং ম্যাপ বিষয়ক শীর্ষক সেমিনারে উপস্থিত সুধীজনের স্থানীয় ভাবে বৃদ্ধি পাওয়া মৌজা রেইট বৃদ্ধি সংক্রান্ত আপত্তি প্রসঙ্গে প্রধান অতিথি সিনিয়র ভূমি সচিব মোঃ শফিউল আলম বলেন, ২০১৫ সালের জন্য মৌজা রেইট পরিবর্তন করে আরো বর্ধিত করার বিষয়টি স্থগিত রেখে ২০১৪ সালে বাস্তবায়িত মৌজা রেইট বলবৎ রাখার জন্য দিক-নির্দেশনার আশ্বস্ত করলেও তা আজো বাস্তবায়ন হয়নি।

ভালুকিয়া সর্দারপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ হাশেম জানান, চলতি মৌসুমে ২০১৪ সালের মৌজা রেইট থেকে শতক প্রতি আরও প্রায় ৬০ হাজার টাকা বাড়িয়ে জমি রেজিষ্ট্রি ফি আদায় করা হচ্ছে। যে কারণে অতি প্রয়োজনের চাহিদা থাকার সত্ত্বেও ভুক্তভোগী জমির মালিক জমি বিক্রি করতে পারছেন না। কেন না জমির মূল্যের চেয়ে মৌজা রেইট বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতা ওই জমি ক্রয়ে আগ্রহ প্রকাশ করছে না বিধায় বর্তমানে জমি ক্রয়-বিক্রয় স্থমিত হয়ে পড়েছে।

রত্নপালং ইউনিয়নের ভালুকিয়াপালং এলাকার কৃষক নুরুল আলম জানান, জমির মৌজা রেইট বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে জমি ক্রয় বিক্রয় করতে না পেরে অনেকেই শারিরীক চিকিৎসা, বিয়ে এমনকি হজ্বব্রত পালন করতে পারছে না।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মাহামুদুল হক জানান, রতœাপালং ইউনিয়নের কোটবাজার সদরে যে জমি কানি প্রতি কোটি টাকা মূল্যে বিক্রি হচ্ছে একই ইউনিয়নের করই বনিয়া এলাকায় কানি প্রতি জমি বিক্রি হচ্ছে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকায়। মৌজার বাজারমূল্য অনুযায়ী কানি প্রতি ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা রেজিষ্ট্রি ফি পরিশোধ করতে হলে ২ লাখ টাকা কানি প্রতি যে জমি বিক্রি হয়েছে সে জমিতে একই রেজিষ্ট্রি ফি বহন করা ক্রেতার পক্ষে মোটেই সম্ভব নয় বিধায় জমি হাত বদলের ধারাবাহিকতা কমে গেছে। যার ফলে এর দায়ভার বহন করে নানা মুখী সমস্যার সম্মুখিন হতে হচ্ছে গ্রামের মানুষকে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে রত্নপালং ইউনিয়নের বাসিন্দা আইনজীবি খোরশেদ আলম জানান, একই ইউনিয়নে সরকার নির্ধারিত মৌজা রেইট এক হলেও এলাকাভেদে জমির ভিন্ন ভিন্ন মূল্য হওয়ার ফলে জমির মালিকেরা বৈষম্যতার শিকার হচ্ছে। যে কারণে গ্রামীণ জনপদে জমি বেচাকেনা হ্রাস পেয়ে রেজিষ্ট্রি খাতে সরকার প্রচুর রাজস্ব হতে বঞ্চিত হচ্ছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রার নজরুল ইসলাম সরকার জমি রেজিষ্ট্রির সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে হ্রাস পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সরকার নির্ধারিত মৌজার বাজারমূল্য অনুযায়ী রেজিষ্ট্রি ফি আদায় করা হচ্ছে।

 

উখিয়ায় আইন শৃংখলা সভায় বক্তারা
নাশকতাকারীকে দেখা মাত্র গুলি
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা পরিষদের মাসিক আইন শৃংখলা উন্নয়ন সভায় উপস্থিত বক্তারা বলেছেন, দেশের ক্রমবর্ধমান অবনতিশীল পরিস্থিতিতে উখিয়ার জন প্রতিনিধিসহ সকলকে সর্তক থাকতে হবে। কোন ইউনিয়নের যে কোন ধরণে নাশকতার ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের দায়ী থাকতে হবে। উখিয়ার শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতির অবনতি ঘটার কোন আশংকা দেখা দিলে বা নাশকতাকারী হিসেবে সনাক্ত হলে সাথে সাথে ওই সব সন্ত্রাসীদের নিবৃত্ত করতে গুলি করতে হবে।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১ টার দিকে মাসিক আইন শৃংখলা উন্নয়ন সভা উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন উখিয়া আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা সোলতান মাহমুদ চৌধুরী, উখিয়া থানার ওসি জহিরুল ইসলাম খান, জালিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, হলদিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মিন্টু, রত্নপালং ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল কবির চৌধুরী, পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী প্রমূখ।

 

উখিয়া ইউএনওকে বিদায়ী সংবর্ধনা
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের অন্যত্র বদলী জনিত বিদায়ী অনুষ্ঠান গতকাল বিকাল ৩ টায় উখিয়া উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সোলতান মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিদায়ী সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডঃ একে আহমদ হোসেন।

আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উখিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এসএম শাহ আলম, উখিয়া আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী, সাবেক সভাপতি অধ্যাপক আদিল উদ্দিন চৌধুরী, উখিয়া সহকারী কমিশনার (ভুমি) এএইচ মাহফুজুর রহমান, সহকারী বন সংরক্ষক রেজাউল করিম চৌধুরী, ওসি জহিরুল ইসলাম খান, আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, ইউপি চেয়ারম্যান যথাক্রমে নূরুল কবির চৌধুরী, আনোয়ার হোছাইন চৌধুরী, কামাল উদ্দিন মিন্টু, গফুর উদ্দিন চৌধুরী, উখিয়া প্রেস ক্লাবের সেক্রটারী রতন কান্তি দে সহ সংশ্লিষ্ট সরকারী বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তাগন।

উল্লেখ্য উখিয়া ইউএনওকে সম্প্রতি কুমিল্লা জেলা দেবিদ্বার উপজেলা ইউএনও হিসেবে বদলী করা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই