ঈদের পরেই মাধ্যমিকে বিসিএস নন-ক্যাডার নিয়োগ

ঈদের পরই সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে ৩৪ম বিসিএস উত্তীর্ণ নন ক্যাডার প্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে।

৩৩৩টি সরকারি স্কুলে ১ হাজার ৭৪৪টি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য আছে। সহকারী শিক্ষকের অনুমোদিত পদ আছে ১০ হাজার ৬টি। শূন্য পদের ৫০ শতাংশ এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুন বাংলামেইলকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে অনেক দিন যাবৎ চেষ্টা করে যাচ্ছি। আশা করছি, ঈদের পর পরই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। এ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ হলে সরকারি মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে আরও যোগ্যতর শিক্ষকের সন্নিবেশ ঘটবে।’

এর ফলে পড়াশোনার পরিবেশসহ সার্বিক পরিস্থিতির উন্নয়ন হবে বলেও মনে করেন ফাহিমা খাতুন।

২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তৃতীয় শ্রেণিতে থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীতকরণের ঘোষণা দেন। ঘোষণার চার বছর পার হয়ে গেলেও এ বিষয়ে বিধিমালা না থাকায় নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারেনি।

ক্রমবর্ধমান শিক্ষার্থীর অনুপাতে শিক্ষক না থাকার কারণে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। শূন্য পদে নিয়োগ না দেয়ার কারণে পাঠদানরত শিক্ষকদের বাড়তি চাপ নিতে হচ্ছে। এতে বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকের ক্ষেত্রে। এ রকম পরিস্থিতিতে মাউশি শিক্ষক-সংকট দূর করতে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে যারা ক্যাডার নন, কেবল তাদের সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়ার ব্যবস্থা করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রস্তাব পাঠায়।

গত ২৬ জুন এক বৈঠকের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। তবে নিয়োগবিধি সংশোধন, পরিমার্জন বা পাস করার বিষয়টি এখনও সচিব কমিটির সভার অপেক্ষায় রয়েছে বলে মাউশি সূত্রে জানা গেছে।



মন্তব্য চালু নেই