ঈদকে সামনে রেখে সক্রিয় অজ্ঞানপার্টি

ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকায় আবারো সক্রিয় হয়ে উঠেছে অজ্ঞানপাটির সদস্যরা। রাস্তা পথে যানবাহনে চলতে ফিরতে ইসুপগুলের ভুষি মিশ্রিত পানীয়, আখের রস, সেক্স, ডায়াবেটিস অথবা গ্যাস্ট্রিক ‘নিরাময়ক’হালুয়া খাইয়ে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে তারা।

বুধবার রাতে ডিএমপির বেশ কয়েকটি গোয়েন্দা বিভাগ রাজধানীর পৃথক স্থানে একাধিক অভিযান চালিয়ে ওই প্রতারণার সঙ্গে জড়িত ২১ জনকে আটক করেছে।

আটকরা হলেন- আবুল হোসেন, মনসুর আলী, শহীদ, শাহজাহান, আবুল হোসেন-২, মনিরুল ইসলাম, মো. রাজু, আবু সাঈদ, নুরুজ্জামান, জাকির হোসেন, আব্দুর রহমান, নূর ইসলাম, সন্তোষ কুমার দে, জুয়েল, আল মামুন, হোসাইন মো. সুমন ও জুম্মন।

এসময় তাদের কাছ থেকে ২৮ পুরিয়া হালুয়া, হরুদ রঙের বক্সে জিরো ক্যালরি লেখা টেবলেট উদ্ধার করা হয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল্ ইসলাম ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, রাজধানীতে গত বছর ও তার আগের বছর অজ্ঞান ও মলম পার্টির দৌরাত্ম বেশি ছিল। এবারও তারা দৌরাত্মের চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে এবার আমরা ঈদের আগেই অভিযান শুরু করেছি। ইতোমধ্যে অজ্ঞানপার্টির বেশ কিছু সংখ্যক সদস্যকে গ্রেফতার করা গেছে।

অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা বাসের যাত্রী সেজে অথবা বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে মানুষকে আকৃষ্ট করে অজ্ঞান করার ওষুধ মিশ্রিত খাবার খাওয়ান। একইভাবে রাস্তায় খাবারের পসরা বসিয়ে (আখের রস, ডাব ও হালুয়া, ইসুপগুল) এবং সিএনজিতে যাত্রীবেসে অন্য যাত্রীকে উঠানো কিংবা পান ও জুস খাইয়ে।

অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির সদস্যরা এমনভাবে মানুষের সঙ্গে মিশে গিয়ে কথা বলেন যে অধিকাংশরাই চিনতে না পেরে তাদের পাতানো ফাঁদে পা দিয়ে খাবার খান, কেউ জুস কিংবা ডাবের পানি খান। কেউবা ইসুপগুল ও হালুয়া। এসব খেয়ে অজ্ঞান হন। হারিয়ে ফেলেন সর্বস্ব।

মনিরুল ইসলাম বলেন, চলতি রমজান ও এবারের ঈদে অজ্ঞানপার্টি যাতে দৌরাত্ম দেখাতে না পারে সেজন্য সক্রিয় নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। নিয়মিত অভিযানের পাশাপাশি বিশেষ অভিযানও চলছে।



মন্তব্য চালু নেই