ইয়েমেনে সৌদির বিমান হামলার সমাপ্তি

ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের দমনে চালানো ‘ডিসিসিভ স্টোর্ম’ নামক বিমান অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করেছে সৌদি আরব। একই সঙ্গে দেশটির স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে ‘রিনিউয়াল হোপ’ নামে নতুন অভিযানের ঘোষণা দিয়েছে সৌদি। খবর আলজাজিরা ও রয়টার্সের।

ইয়েমেনের শাসনক্ষমতা দখল করা শিয়া হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে প্রায় একমাস জোটগতভাবে বিমান হামলা চালানোর পর গত মঙ্গলবার তা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে জোটের নেতৃত্ব দানকারী সৌদি আরব। জোটের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ আল-আসিরি ইয়েমেনে বিমান হামলার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার কথা জানিয়েছেন।

আসিরি আরও জানিয়েছেন, বিমান হামলা বন্ধ হলেও ইয়েমেনে হুথিদের আগ্রাসন প্রতিরোধে কাজ করে যাবে জোট।

তিনি বলেন, ইয়েমেন সরকার ও প্রেসিডেন্ট হাদির অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বিমান অভিযান বন্ধ করা হয়েছে। অভিযানের প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও ইয়েমেনের সার্বভৌমত্ব রক্ষিত হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

সৌদির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএ’তে প্রকাশ করা এক বিবৃতিতে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘অপারেশন ডিসিসিভ স্টোর্ম’ এটির লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে সক্ষম হয়েছে … সৌদি আরব ও প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি (হুথিদের) হুমকি বিশেষত ভারী অস্ত্রের হুমকি দূরীভূত হয়েছে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বিমানহামলা বন্ধ হলেও ‘অপারেশন রিনিউয়াল হোপ’ নামে নতুন পর্বের অভিযান শুরু হবে। ইয়েমেনের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও জনগণকে রক্ষায় রাজনৈতিক, কূটনৈতিক এবং সামরিক এই তিন প্রকার প্রচেষ্টার সমন্বয়ে ওই অভিযান পরিচালনা করা হবে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মধ্যরাত (আন্তর্জাতিক সময় বুধবার) থেকে নতুন অভিযান শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে।

সৌদির বিমান হামলা বন্ধের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন ইয়েমেনের ‘পলাতক’ প্রেসিডেন্ট আবদ-রব্বু মনসুর হাদি। সৌদি আরবের রিয়াদে বুধবার সকালে তিনি বলেন, ‘আমি নিজের ও ইয়েমেনী জনগণের পক্ষ থেকে আরব ও মুসলিম ভাই এবং জোটভুক্ত মিত্রদের সর্বাত্মক সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

সৌদির এ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রও। শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ ইরান প্রথম থেকেই সৌদি নেতৃত্বাধীন হামলার বিরোধিতা করে আসছিল।

গত ২৬ মার্চ আরব গাল্ফ (উপসাগরীয়) রাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি রাষ্ট্র নিয়ে ইয়েমেনে বিমান হামলা শুরু করে সৌদি আরব। চার সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চালানো ওই হামলায় প্রায় ৯৪৪ জন নিহত ও ৩ হাজার ৪৮৭ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।



মন্তব্য চালু নেই