ইরাকী খ্রিস্টানদের ইসলাম গ্রহণের আহ্বান

ইসলাম গ্রহণ, অন্যথায় জিজিয়া কর, নতুবা হত্যা

ইরাক আক্রমণকারী এবং বিস্তীর্ণ অঞ্চলে খিলাফত ঘোষণাকারী সশস্ত্র ইসলামি সংগঠন আইসিস দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মসুলে নতুন এক প্রজ্ঞাপন প্রচার করে চলেছে। সাবেক আইসিস ও বর্তমানের ইসলামিক স্টেট-এর ভাষ্য অনুযায়ী, ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মসুলের অবস্থাকারী সকল খ্রিস্ট ধর্মবলম্বীকে অচিরে ইসলাম গ্রহণ অথবা জিজিয়া কর প্রদান করতে হবে। অন্যথায় তাদের পরিণতি হবে মৃত্যু। আল জাজিরা।

শুক্রবার জুমু’আর নামাজের পর এ লিখিত প্রজ্ঞাপন প্রচারিত হতে থাকে। কাতারভিত্তিক বার্তাসংস্থা আল জাজিরার দেয়া তথ্য মতে, মসুল অঞ্চলের খ্রিস্টান নেতাদের এক বৈঠকে অনুপস্থিত থাকার বিপরীতে ইসলামি,ক স্টেট এ সিদ্ধান্ত প্রচার করতে শুরু করে।

মসুলে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের বর্তমান অবস্থা- প্রাণ নিয়ে শহর ছেড়ে পালাতে হচ্ছে তাদের। আইসিস আগ্রাসনের পূর্বে মসুলে খ্রিস্টানের সংখ্যা ছিল প্রায় ৩ হাজার। বর্তমানে তিনভাগের একভাগ খিস্টান টিকে আছেন। বেশির ভাগই তুলনামূলক নিরাপদ শহরে পালিয়ে গেছেন। তাদের মালিকানাধীন দোকানপাট ইতোমধ্যে লুটপাট ও ভাঙচুর করা হয়ে গেছে।

‘ইউএন অ্যাসিস্ট্যান্স মিশন ইন ইরাক’-এর প্রধান নিকোলা ম্লেদেনভ এ প্রসঙ্গে বলেন, সংখ্যালঘুদের ওপর যে কোন প্রকার পীড়ন সুস্পষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘন। আমরা এর বিরুদ্ধে সকলকে সোচ্চার হতে অনুরোধ করবো।’ তিনি আরও বলেন, ‘নাগরিকদের ওপর আক্রমণের ধারাবাহিক ঘটনাগুলো নিয়ে আমরা প্রতিবেদন তৈরি করছি এবং তা নিয়ে ইরাকী প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করবো।’



মন্তব্য চালু নেই