ইসলামী ছাত্রীসংস্থার কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা

জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী সংগঠন ইসলামী ছাত্রী সংস্থার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক চিঠিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ইসলামী ছাত্রী সংস্থা নামে একটি ছাত্রী সংগঠন কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রী ও সরলমনা, ধর্মভিরু মহিলাদের জিহাদে অংশগ্রহণসহ সংবিধানের বাইরে সমাজ প্রতিষ্ঠা করা এবং দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির লক্ষ্যে জিহাদি মনোভাবাপন্য করে তোলার অপচেষ্টা করছে।

সংস্থাটির কাজে নিয়ন্ত্রণের কারণ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেন, এই ছাত্র শিবিরের বিরুদ্ধে আমাদের কাছে যে প্রমাণাদি আছে এবং তাদের কার্যকালাপ যে ধরনের। অর্থাৎ এরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, এরা সহজেই হাতে অস্ত্র তুলে নেয়। এছাড়া বিভিন্ন কায়দায় তারা হত্যাকা- ঘটিয়ে থাকে। এরা আগে রগ কাটতো, এখন এরা চাপাতি দিয়ে করে। আবার কখনো আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে। আর এই শিবির থেকেই বিভিন্ন রকম প্রশিক্ষণ নিয়ে পরবর্তিতে জেএমবিসহ বিভিন্ন নামে আত্মপ্রকাশ করে। আর এই ইসলামী ছাত্রী সংস্থা শিবিরেরই একটি অংশ। অর্থাৎ শিবিরের মহিলা সংগঠন।

শিবিরকে নিষিদ্ধ না করে এই ছাত্রী সংস্থাকে নিষিদ্ধ করার কারণ প্রসঙ্গে এইচ টি ইমাম বলেন, ছাত্রী সংস্থারা যখন এধরনের কার্যকালাপে লিপ্ত হন তখন তারা অনেক বেশি সহিংস। ধরতে গেলে সবই জামায়েতেরই অঙ্গ-সংগঠন। গত পৌরসভা নির্বাচনগুলোতে এদের মেয়ে কর্মীরা বোরখা পরে এক হাতে কুরআন, অন্য হাতে টাকার ডা-িল নিয়ে ভোটের ব্যপারে কাজ করতো। এছাড়া ২০১৩-২০১৪ সালে হেফাযতের আন্দোলনের সময় এই মহিলারা বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

_91335696_qk

মেয়েদের মধ্যে জঙ্গিবাদের বিষয়টি বেশি করে তৈরি হচ্ছে কিনা সে প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, অবশ্যই তৈরি হচ্ছে। কারণ কিছুদিন আগেও আমরা দেখেছি মহিলা জঙ্গিরা ধরা পড়লো এবং এনকাউন্টারে মারা গেল। এখন এদের সহিংসতার বিষয়টিও স্পষ্ট। এবং এরা অনেক বেশি সুসংগঠিত, আন্ডারগ্রাউন্ড সেল্সও অনেক। এদের একেকটা সেলস এমন ভাবে কাজ করে যেখানে একটার সাথে আরেকটার কোন সম্পর্ক নেই। ইন্টারনেট, সোসাল মিডিয়ায়ও এদের বেশ বিচরণ।

এই সংস্থাকে নিয়ন্ত্রণের প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে এইচ টি ইমাম বলেন, আমাদের প্রথম পদক্ষেপ নিষিদ্ধ করা। পরবর্তীতে সহযেই আইনের আওতায় আনা হবে। আমার মনে হয় এটাকে প্রতিরোধ করার সবচেয়ে বড় অস্ত্র হলো আমাদের রাজনৈতিক আন্দোলন। -বিবিসি বাংলা থেকে নেওয়া



মন্তব্য চালু নেই