ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে জাতিসংঘে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ইরানের সাম্প্রতিক ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের লঙ্ঘণ বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা এই ইস্যুটি জাতিসংঘে উত্থাপন করবে বলেও জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।

ইরান রোববার একটি নতুন মডেলের দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালানোর ঘোষণা দেয়ার মাত্র একদিন পরই এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করল যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মার্ক টোনের মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে,‘আমরা অবশ্যই ঘটনাটি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে তুলব। এর আগেও এ ধরনের পরীক্ষার অন্য ঘটনাগুলোও আমরা জাতিসংঘে তুলেছিলাম।’ কেননা এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ১৯২৯ সালে নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত প্রস্তাবনার চূড়ান্ত লঙ্ঘণ।

তবে ক্ষেপণাস্ত্রে এই ইস্যুটির সঙ্গে তেহরানের পরমাণু চুক্তির কোনো সম্পর্ক নেই বলে মার্ক টোনের এবং হোয়াইট হাউস মুখপাত্র জোস আর্নেস্ট জানিয়েছে। গত জুলাই মাসে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি হ্রাসে তেহরান ও ৬ জাতি (যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য,রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স ও জার্মানি) মিলে ওই চুক্তিতে পৌঁছেছিল।

নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনা অনুযায়ী ইরান কোনো ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাতে পারে না। তবে ৬ জাতির সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি বাস্তবায়িত হওয়ার পর এবং নিরাপত্তা পরিষদের অনুমতি পেলেই কেবল ইরান এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাতে পারবে। সেক্ষেত্রে ওই ৬টি দেশের ইরানের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ভারি অস্ত্র তৈরির প্রযুক্তি হস্তান্তর করার কথা রয়েছে।

তবে যুক্তরাষ্ট্র এখন বলছে, তারা ইরানের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি সরবরাহের ওপর জাতিসংঘে উত্থাপিত যে কোনো প্রস্তাবে ভেটো দেবে। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস মুখপাত্র আর্নেস্ট আরো বলেছেন, ইরানের ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি মোকাবেলায় উপসারীয় মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে মিলে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।



মন্তব্য চালু নেই